ষাট-সত্তরের দশকে বলিউডে তিনিই তখন দাপুটে রাজা। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই নাকি শুরু হত ছবির কাজ। তাঁর এক কথায় ছবি থেকে বাদ পড়তেন খ্যাতনামী অভিনেতারা। এমনটাই গুঞ্জন ছিল বলিউডে। এ হেন রাজেশ খন্না একের পর এক রোম্যান্টিক হিট উপহার দিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘আরাধনা’, ‘সফর’, ‘অমর প্রেম’, আবিষ্কার’, ‘রাজারানি’-র মতো একাধিক ছবিতে তাঁর সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরের জুটি সাড়া ফেলেছিল দেশ জুড়ে। তবু সেই শর্মিলাই নাকি তাঁর সঙ্গে ছবি করা বন্ধ করে দিলেন! কিন্তু কী এমন ঘটেছিল দু’জনের মধ্যে? যার জেরে শর্মিলা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন ‘কাকা’র থেকে? সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী’ নিজেই জানিয়েছেন সেই গোপন কথা। মুম্বই সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছেন রাজেশের কীর্তিকলাপ।সাক্ষাৎকারে সত্তর দশকের জনপ্রিয় নায়িকা বলেন, ‘‘শ্যুটিংয়ে খুব দেরি করে আসতেন কাকা। শ্যুটিং শুরুর নির্ধারিত সময় যদি থাকত সকাল ন’টায়, কাকা আসতেন বেলা বারোটায়। এটা বার বার ঘটছিল আমার সঙ্গে। এবং লাগাতার হতে হতে সহ্যের সীমা পেরোচ্ছিল। তখন হিন্দি ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি ছিলাম আমরা। তা সত্ত্বেও বিরক্ত হয়ে রাজেশের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’’
মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা রাজেশ? সেই প্রশ্নের উত্তরও অকপটে দিয়েছেন ‘নবাব-ঘরনি’। বলেছেন, ‘‘অন্তর্বিরোধে ভরা জটিল মনের মানুষ ছিলেন কাকা। বন্ধু, আত্মীয়দের দামি উপহারে ভরিয়ে রাখতেন। কাউকে তো বাড়িও কিনে দিয়েছেন। কিন্তু এর পরিবর্তে ওঁর চাহিদাও ছিল অনেক বেশি। আর তাতেই সম্পর্ক ভেঙে যেত।’’ সত্তর দশকের ‘রোম্যান্টিক হিরো’-র শেষ জীবন সুখের ছিল না। স্ত্রী ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেননি রাজেশ। দীর্ঘ দিন একত্রবাস করেছেন অভিনেত্রী টিনা মুনিমের সঙ্গে। সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়। ২০১১-য় পাচনতন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেতা। সেই অসুস্থতার জেরেই ২০১২ সালে প্রয়াত হন অভিনেতা।