prantika das

Swayamvar-Mika Di Vohti: আকাঙ্ক্ষাকেই বিয়ে করলে স্বয়ম্বর কেন, এই প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা ছিল না: প্রান্তিকা

স্বয়ম্বরে জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেলেন মিকা। পূর্বপরিচিত আকাঙ্ক্ষা পুরীকেই বেছে নিলেন ১৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ১৪:২৪
Share:

‘মিকা দি বোটি’-তে জীবনসঙ্গিনী পেয়েছেন মিকা সিংহ। তাঁর পছন্দের পাত্রী পূর্বপরিচিত আকাঙ্ক্ষা পুরী। তা হলে স্বয়ম্বরের নাটকের কী প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন তুললেন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছনো বাঙালি কন্যা প্রান্তিকা দাস। কলকাতার মেয়ে প্রাম্তিকা ছিলেন চূড়ান্ত তিন প্রতিযোগীদের মধ্যে অন্যতম। রিয়্যালিটি শোয়ের প্রথম থেকেই মিকার মন জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। দর্শকদের কাছ থেকেও সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন মিকা-প্রান্তিকা জুটি। প্রতিযোগিতার শেষ মুহূর্তে মিকার মুখে আকাঙ্ক্ষার নাম শুনে তাই হতবাক প্রান্তিকা। ভেঙে পড়েছেন এই ফলাফলে। মুম্বই থেকে ফেরার পথে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন মনের কথা। কী এমন হল যে, এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেলেন তিনি? ভারাক্রান্ত প্রান্তিকার উত্তর, ‘‘আমি আর নীত প্রথম দিন থেকেই এই সফরে ছিলাম। আকাঙ্ক্ষা আসে ওয়াইল্ড কার্ডে। পুরোটাই মিকার সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, পুরো ব্যাপারটার মধ্যে স্বচ্ছতা ছিল না। শুধু আমি কেন, সমস্ত দর্শক যাঁরা প্রথম দিন থেকে এই শো দেখেছেন, তাঁদেরও মনে হয়েছে এটা ঠিক হয়নি। এটা শুধু আমার কথা নয়। আমার মনে হয়, নীত বা বাকি চোদ্দো জন প্রতিযোগীদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।’’

Advertisement

পঞ্জাবি গায়কের ব্যক্তিগত পছন্দের কথা বলতে গিয়ে প্রান্তিকা বলেন, ‘‘মিকাজি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন সহজ-সরল মেয়েই তাঁর পছন্দ। বিখ্যাত কাউকে তিনি নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেতে চান না। সে দিক থেকে আকাঙ্ক্ষা মোটেই সহজ-সরল নন। এর আগে অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবেও বেশ পরিচিত মুখ। তাঁকেই জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেছে নিলেন মিকা। এটা কি সঠিক বিচার হয়েছে?’’ প্রান্তিকার ক্ষোভ, ‘‘মিকাজির জীবনে কে ছিল বা আগে কী হয়েছে, সেটা এই শো-তে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল না। উনি জীবনসঙ্গিনী খুঁজতেই এই মঞ্চে এসেছিলেন। আকাঙ্ক্ষাকে বিয়ে করতে হলে এই প্রতিযোগিতা বা অনুষ্ঠান যা-ই বলুন, তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমি একাই কষ্ট পাচ্ছি না। এই শোয়ের বাকি প্রতিযোগীদেরও মন ভেঙে গিয়েছে।’’

প্রথম থেকেই প্রান্তিকার সঙ্গে খুব ভাল রসায়ন ছিল মিকার। প্রান্তিকাকে প্রত্যাখ্যানের কী কারণ দেখালেন পঞ্জাবি গায়ক? প্রান্তিকা বলেন, ‘‘শো-এর পরে মিকাজি বলেছিলেন— তোর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব বা মনের মিল সবথেকে বেশি, কিন্তু আমাদের বয়সের তফাত অনেকটাই। দায়িত্ব নেওয়ার বয়স হয়নি তোর। আমার জীবনসঙ্গীকে মনের দিক থেকে আরও একটু পরিণত, দায়িত্বশীল হতে হবে।’’ পছন্দের গায়কের সঙ্গে সারা জীবন কাটবে— এমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রান্তিকা। প্রতিযোগিতা চলাকালীন একটু একটু করে ঘনিষ্ঠও হয়েছেন মনের মানুষের সঙ্গে। স্বপ্নভঙ্গকে এত তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পারবেন? ভুলতে পারবেন মিকাকে? কান্নাভেজা গলায় এ বার প্রান্তিকার জবাব, ‘‘এখন আর তো কিছু করার নেই। প্রতিযোগিতার ফলাফল মেনে নিতেই হবে। মিকাজি কথা দিয়েছেন আমাদের বন্ধুত্ব সারা জীবন থাকবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement