শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রকে ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তিনি। বছর দুয়েক আগে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। যার জেরে দীর্ঘ সময় হাজতবাসও হয় তাঁর। যদিও পরে জামিন পান রাজ। জেল থেকে ছাড়া পেলেও জীবনের ওই অধ্যায় ভোলেননি তিনি। সিনেমার পর্দায় সেই অধ্যায় তুলে ধরেছেন রাজ। ইতিমধ্যেই মুক্তিপেয়েছে রাজের জীবনীচিত্রের প্রচার ঝলকও। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শিল্পার স্বামী। নিজের জীবনীচিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন রাজ নিজেই। সম্প্রতি সেই ছবির প্রচার ঝলক মুক্তির অনুষ্ঠানে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন শিল্পার স্বামী। তাঁর হাজতবাসের সময়ের কথা মনে পড়লেও নাকি চোখে জল চলে আসে তাঁর। তবে শুধু নিজের লড়াইয়ের কথা ভেবে নয়, নিজের পরিবারের চিন্তাতেও অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন রাজ। এমনকি, দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে সংসার কথাও নাকি ভেবেছিলেন শিল্পা ও রাজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজ জানান, পর্নকাণ্ডে নাম জড়ানোর পরে তাঁকে নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্ত্রী শিল্পাই। রাজ বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীই প্রথম আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি বিদেশে চলে যেতে চাও? তুমি তো লন্ডনে বেশ ভালই ছিলে। আমার জন্য এ দেশে এসেছ তুমি। তুমি চাইলে আমি বিদেশে গিয়েও সংসার করতে পারি’। চরম কঠিন সময়েও আমার স্ত্রীই প্রথম আমাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।’’ তার পরেও কেন বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবেননি রাজ? রাজ বলেন, ‘‘আমি এ দেশে থাকতে ভালবাসি। আর তা ছাড়াও... লোকজন কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি করে পালিয়ে যায়। আমি কেন তা করব!’’
২০২১ সালে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ায় শিল্পী শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রর। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরই হাজতবাসও হয় তাঁর। প্রায় দু’মাস জেলে কাটানোর পর ছাড়া পান রাজ। মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে ৬৩ দিন কাটিয়েছিলেন রাজ। সেই কঠিন অধ্যায়ের কথা বলতে গিয়ে নিজের ছবি ‘ইউটি - ৬৯’-এর প্রচার ঝলক প্রকাশের মঞ্চেই আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন রাজ। জানা গিয়েছে, নিজের জীবনীচিত্রে ওই ৬৩ দিনকেই নাকি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।