পুজো শেষ হলেও উত্সবের রেশ এখনও কাটেনি। ছুটি কাটাতে এরই মধ্যে শুভশ্রীকে নিয়ে রাজ উড়ে গেলেন আফ্রিকাতে। উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য স্পেশাল কোয়ালিটি টাইম। সোশ্যাল সাইটে শেয়ারও করলেন নিজেদের আফ্রিকান সাফারির কিছু মুহূর্ত। আফ্রিকায় কেমন সময় কাটাচ্ছেন জুটি? দেখে নেওয়া যাক...
পূর্ব আফ্রিকায় ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত কেনিয়া বরাবরই ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের জায়গা। কেনিয়ার মাসাইমারা অভয়ারণ্যের কথা প্রায় সকলেরই জানা। বনের রাজা থেকে শুরু করে জেব্রা, জিরাফ কী নেই সেখানে। অ্যাডভেঞ্চারের টানে সেখানেই আপাতত রয়েছেন ওই তারকা জুটি।
যাত্রা শুরু করেছিলেন নাইরোবি দিয়ে। সেখানে একদিন কাটিয়েই তাঁরা চলে গিয়েছেন মাসাইমারা। কিছু দিন আগেই বলিউডের কিউটেস্ট কাপল রণবীর-আলিয়াও ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মাসাইমারাতেই। এবার রাজ-শুভশ্রীও গেলেন সেখানেই।
একান্তে যে দারুণ মজেছেন তাঁরা, ছবি দেখেই আঁচ করা যাচ্ছে। প্রকৃতির একেবারে কাছাকাছি, শহুরে কোলাহল, ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’ থেকে অনেকটা দূরে নিজেদের জন্য সময় বার করে নেওয়া, এ কি কম কথা!
পশুরাজেরও দেখা মিলেছে সেখানে। শুভশ্রীর ক্যামেরায় ‘তিনি’ আবার লেন্সবন্দিও হয়েছেন। রোদেলা দুপুরে আলসে রোদ মেখে ঢুলতে দেখা গিয়েছে তাকে।
ঘোরার সঙ্গে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে নাকি! স্পেশ্যাল আফ্রিকান খাবারও জমিয়ে খাচ্ছেন দু’জনে। আপনি ‘ফুডি’ হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা সেই খাবারের প্লেট থেকে লোভ সংবরণ করা কিছুটা মুশকিলই হয়ে যেতে পারে।
পাশে রাখা হয়েছে তাঁদের সফরের সঙ্গী শ্যাওলা রঙের স্পেশ্যাল সাফারি জিপ। পরিষ্কার আকাশে সাদা পেঁজা তুলোর মতো ছেঁড়া মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে নিজের খেয়ালে। তারই মধ্যে পড়ন্ত বিকেলে গাছের তলায় একান্তে রাজ-শুভশ্রী। ট্রিপ শেষে নির্জনে খাওয়াদাওয়া সেরে নিচ্ছেন।
দুলকি চালে চলেছে হাতির দল। কোনওদিকেই যেন ভ্রূক্ষেপ নেই তাদের। তবে শুভশ্রীর নজর এড়ায়নি তা। ঠিক তুলে নিয়েছেন ছবি। আপলোড করেছেন ইনস্টাগ্রামেও।
চুটিয়ে ঘুরছেন দু’জনে। বোঝার চেষ্টা করছেন সেখানকার সংস্কৃতিকেও। তাই তো ওখানকার ভূমিপুত্রদের বিশেষ নাচ-খেলা দেখতেও ভোলেননি তাঁরা।
রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত, শুভশ্রী-ঋত্বিক অভিনীত ‘পরিণীতা’ কিছু দিন আগেই বক্স অফিসে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছে। এরই মধ্যে রাজের পরবর্তী ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’-র কাজও প্রায় অনেকটাই শেষ। দশমীতে রোশন-শ্রাবন্তী, পায়েল সহ এক গুচ্ছ তারার সঙ্গে ওই তারকা জুটি সিঁদুর খেলায় মাতলেও শুধু নিজেদের জন্য সময় মিলছিল না কিছুতেই। অবশেষে মিলেছে, আর তাঁরাও পাড়ি দিয়েছেন সুদূর আফ্রিকায়।