শুভশ্রী এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ।
বাংলা ছবির মানচিত্র বদলাচ্ছে। বদলে যাওয়া সময়ে সমকালীন ও যুগোপযোগী গল্প পর্দায় দেখাতে পছন্দ করছেন রাজ চক্রবর্তী। নিজের প্রযোজনায় ‘পরিণীতা’, ‘ধর্মযুদ্ধ’-র পরে তাঁর আগামী নিবেদন ‘হাবজি গাবজি’। চাকুরীজীবী বাবা-মায়ের নিঃসঙ্গ সন্তান, মোবাইলের জালে ক্রমশ আটকে পড়া কিশোর এবং তা থেকে বিপদ... এটাই গল্প ছবির। মুখ্য চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং শুভশ্রী।
ছবির অনুপ্রেরণা সম্পর্কে রাজ বলছিলেন, ‘‘চারপাশে যাকেই দেখি, সে-ই মোবাইলে মগ্ন। কারও সঙ্গে কথা বলার ফুরসত নেই। বাড়িতে ভাগ্নীকে দেখি, হেডফোন গুঁজে মোবাইলে কী করে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে বলে, পাবজি খেলছি। ‘ধর্মযুদ্ধ’র রেকি করে ফেরার সময়ে সৌমিকের (হালদার) কাছে শুনেছি, ওর বাড়িতেও একই ছবি।’’ পাশাপাশি কিশোরদের মধ্যে বাড়তে থাকা মোবাইল আসক্তি নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালিখিও এই গল্পের পিছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ পদ্মনাভ দাশগুপ্তের।
‘প্রলয়’-এর দীর্ঘ দিন পরে রাজের ছবিতে কাজ করছেন পরমব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘কাজের সূত্রেই আমাদের বন্ধুত্বেরও নতুন শুরু হল।’’ পরমব্রতের স্ত্রীর চরিত্রে শুভশ্রী। এর আগে ‘ধূমকেতু’তে দু’জনে কাজ করেছিলেন। তবে সেই ছবি মুক্তি পায়নি। এই ছবিতে প্রথম বার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। রাজের ছবি মানেই কি এখন শুভশ্রী? ‘‘এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। পরিচালক-প্রযোজক বলতে পারবে’’, হালকা হাসি নায়িকার কণ্ঠে। আর পরিচালক কী বলছেন জবাবে? ‘‘রাজের ছবি মানেই ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রী। শুভশ্রীর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে পরপর তিনটে কেন, দশটা ছবিও করতে পারি। আর আমার ট্র্যাক রেকর্ড দেখলেই বুঝবেন, যখন যে অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি, গোটা দুই-তিন ছবি তার সঙ্গে পরপর করেছি।’’
ছবিতে ক্যামেরায় থাকবেন মানস গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গীতের দায়িত্বে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। কিশোর চরিত্রে কাকে নেওয়া হবে, সেই অভিনেতার খোঁজ চলছে।
রাজের কথায়, ‘‘এই ছবি ছোটদের নয়। বরং আমাদের সকলের। কারণ বড়দের কাছ থেকেই ছোটদের মধ্যে মোবাইলের আসক্তি ছড়িয়ে পড়ছে।’’