একাধিক চরিত্র থেকে বাতিল হয়েছিলেন রাইমা
দিদিমা সুচিত্রা সেন। মা মুনমুন সেন। প্রথম যখন অভিনয়ে পা রেখেছিলেন রাইমা সেন, ভয়ে তাঁর বুক ঢিপঢিপ করত। ভাল করেই জানতেন, তারকা-সন্তানের কাছে দর্শকের প্রত্যাশা যে বড় কম নয়! প্রতিনিয়ত অভিনেত্রী মায়ের সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচার। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিরন্তর মাপতেন দর্শক— সে সব নিজেই বুঝতেন রাইমা।
আর এখন? নিজে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বাংলা তো বটেই, হিন্দি এবং একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় ছবি করেছেন রাইমা। প্রথম মরাঠি ছবি ‘আনিয়া’-র হাত ধরে জীবন ফের মোড় নিচ্ছে অন্য দিকে। কেমন এই পথ চলা? মায়ের সঙ্গেই কি ছিল তাঁর মূল লড়াই? উত্তরে যেন ঈষৎ অভিমানের সুর। মুম্বই সংবাদ সংস্থার কাছে মনের আগল খুললেন অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে রাইমা বলেন, ‘‘তারকা-সন্তানদের জন্য শুরুটা খুব কঠিন। যাঁরা পুরোপুরি নতুন, নিজের চেষ্টায় অভিনয়ে পা রাখছেন, তাঁদের চাপ বরং অনেক কম। কিন্তু যখনই তোমার পরিচয় তারকা-সন্তান, মানুষ চুলচেরা বিচার করবেনই। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’’
রাইমার কথায়, ‘‘দিদিমা সুচিত্রা সেন এক বিরাট উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন। আমি সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখতে পারিনি। বরং একাধিক চরিত্রে বাতিল করা হয়েছিল আমায়।’’
তবে ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’ থেকেই ঘুরে দাঁড়ান নায়িকা। ‘আশালতা’র চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করে মানুষের মন কেড়ে নেন। মুনমুন-কন্যার কথায়, ‘‘সেই প্রথম আমায় মুনমুন সেনের মেয়ে বা রিয়ার বোন হিসেবে নয়, রাইমা সেন নামে চিনল সকলে।’’ তার পরে আর পিছনে ফিরে দেখতে হয়নি।
অভিনেত্রী মনে করেন, ব্যর্থতা আছে বলেই সাফল্য এমন জাঁকিয়ে আসতে পারে জীবনে। দু’টি ছবি থেকে বাতিল হয়েছিলেন বটে, কিন্তু এখন তাঁর হাতে অনেক ছবি। তাঁর মতে, প্রত্যেকের জীবনেই সংগ্রাম থাকে নিজের মতো করে। মুনমুন সেনের মেয়ে হওয়ায় তাঁর লড়াইটা ছিল আরও কঠিন। তবে সাহস করে সব বাধা পার হয়েই আজ খ্যাতির আলো টেনে নিতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।