ফাল্গুনের এক সন্ধ্যায় বাইপাসের ধারের ‘রাজকুটিরে’ সৃজিত-মিথিলার বউভাতে নিঃশব্দে ঘটে গেল কিছু না জানা গল্প। হল প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা, কেউ বা আবার নতুন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে হাজির হলেন অনুষ্ঠানে। ঠিক কী কী হল? দেখে নিন...
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় বাড়তে লাগল টলি পাড়ার চেনা মুখেদের। এমন সময়েই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে হাজির হলেন অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায়। এ দিকে তখন ‘বউভাত বাড়িতে’ ফিসফাস বাড়ছে ক্রমশ। অনেকেই চেনেন ইন্দ্রাশিসের ভালবাসার মানুষটিকে। যারা চেনেন না, তাঁদের কৌতুহলী চোখ তখন খুঁজে চলেছে নতুন গসিপ।
রুদ্রনীল ঘোষের জীবনেও কি বসন্ত এসে গিয়েছে? শোনা গিয়েছিল, খুব শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন তাঁরা। সৃজিত-মিথিলার রিসেপশনে তিনিও ফ্রেমবন্দী হলেন তাঁর 'বিশেষ মানুষ'-এর সঙ্গে।
সেনসেশনাল কাপল ইন্দ্রনীল-বরখাও গল্পে মজলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। নির্ভেজাল নিখাদ সে আড্ডা। শুভশ্রীকে দেখা যায়নি। শুটিংয়ের জন্য তিনি বাইরে। অগত্যা বউকে ছাড়াই রাজ গল্পে মজলেন বরখা-ইন্দ্রনীলের সঙ্গে।
দাঁড়ান। এখানেই শেষ নয়। ‘রেলগাড়ির কামরায়’ নয়। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার ‘হঠাৎ দেখা’ হল সৃজিতের বউভাতেই।তথাগত-র সঙ্গে অনুষ্ঠানে এলেন প্রিয়ঙ্কা। এ দিকে রাহুলকে দেখা গেল সন্দীপ্তার সঙ্গে। খাতায় কলমে যদিও তাঁরা ‘গুড ফ্রেন্ড’। তবু গসিপ তো আর থেমে থাকে না!
জেন ওয়াইয়ের ক্রাশ অনির্বাণ মঞ্চে উঠলেন সাদা পাঞ্জাবিতে। সৃজিতের ‘খোকা’ তখন রীতিমতো ‘হ্যান্ডসাম হাঙ্ক’। মহিলা ভক্তরা শুনলে কষ্ট পেতে পারেন, তবে রিসেপশনে কিন্তু একা এলেন না অনির্বাণ। সঙ্গে দেখা গেল তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু মধুরিমা গোস্বামীকেও। সৃজিত-মিথিলার দু’পাশে তখন জ্বলজ্বল করছেন মধুরিমা-অনির্বাণ।
রূপম-রূপসার রসায়ন সকলেরই জানা। বিয়ের এত বছর পরেও রোম্যান্স অটুট। কনট্রাস্ট করা পোশাকে নজর কাড়ছিলেন তাঁরাও।
কিছু দিন আগেই বৈবাহিক জীবনের পঁচিশটি বসন্ত পার করেছেন কৌশিক সেন এবং রেশমী সেন। কিন্তু শুটিংয়ের চাপে আসতে পারেননি রেশমী। অগত্যা একাই এলেন তিনি।
না ঠিক 'একা' বলা চলে না। সঙ্গে ছিলেন ছেলে ঋদ্ধি সেন এবং গায়িকা-নায়িকা, একই সঙ্গে ঋদ্ধির গার্লফ্রেন্ড সুরঙ্গনাও।
একটু দেরিতে স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির হলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কৌশিক-চূর্ণীর ‘লক্ষ্মী ছেলে’ উজানও।
রাত দশটার পর হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৌঁছেছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। বেশিক্ষণ ছিলেন না তিনি। বর-কনের সঙ্গে দেখা করেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি।
ইকা যাননি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল একাই। ফরমাল পোশাকে লাইমলাইট কেড়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা— ক্রিকেট থেকে সেলুলয়েড... রিসেপশনে রাতের সব তারা নেমে এসেছিল সৃজিত-মিথিলার বৌভাতে। সৌরসেনী, তুহিনা-- কে হাজির ছিলেন না সেখানে?গ্ল্যামারে চোখ ঝলসে যায়।
খাওয়া দাওয়ারও কী বিরাট আয়োজন। সেলেবরা ভুলেছিলেন ডায়েট। প্লেট তখন ভরে উঠেছে রকমারি খাবারে। ঠাকুরবাড়ির কষা মাংস, পোলাও, চিংড়ির মালাইকারি! লোভনীয়, সুস্বাদু এবং জিভে জল আনা।
সৃজিত যেন এক্কেবারে ঘরের ছেলে তখন। সবাইকে আপ্যায়ন করছেন। খাবার ঠিক লাগল কী না, জিজ্ঞাসা করে নিচ্ছেন। মিথিলাও হাসিমুখে করে চলেছেন সামাজিক সৌজন্য বিনিময়। শরীরে ক্লান্তির লেশ মাত নেই।
মিথিলার বাপের বাড়ির দিক থেকেও উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। হাসি, মশকরাতে ভরে উঠতে লাগল রাজকুটিরের প্রতিটি কোণ।
রবিবারই পরের ছবির শুটিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাচ্ছেন পরিচালক। এরই মাঝে স্বল্প অবকাশ। কলকাতা সাক্ষী থাকল এক এলাহি বউভাতের। সৌজন্যে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: নিজস্ব চিত্র।