ছবি-মুক্তি পিছনো প্রসঙ্গে ‘বুম্বাদা’ আরও জানিয়েছেন, ‘ভিড় এড়ানো’ কথাটি ঠিক নয়। তবে প্রতিটি ছবির মুক্তির মধ্যে মধ্যে একটু ফাঁক থাকা ভাল। এ কথা তিনিও মানেন। তাই প্রযোজক জিতের সিদ্ধান্ত তিনি খুশিমনেই মেনে নিয়েছেন।
‘আয় খুকু আয়’ ছবিতে প্রসেনজিৎ এবং দিতিপ্রিয়া। ফাইল চিত্র।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পথে হাঁটলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও? সৃজিতের ‘এক্স ইক্যুয়াল্টু প্রেম’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল মে মাসে। অতিমারির কারণে দু’বছর অপেক্ষার পরে চলতি মাস জুড়ে বাংলা ছবির ঢল। সৃজিত তাঁর ছবির মুক্তি পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন জুন মাসে। শনিবার সকালে পরিচালক শৌভিক কুণ্ডু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, প্রসেনজিত-মিথিলা-দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত ছবি ‘আয় খুকু আয়’-এর মুক্তির তারিখও পিছিয়ে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আসবে ২৭ মে-র বদলে ১৭ জুন। ওই দিন আরও তিনটি ছবি ‘শবর’, ‘চিনেবাদাম’, ‘ভয় পেও না’-রও মুক্তি পাওয়ার কথা। সেই কারণেই কি এই পদক্ষেপ? আনন্দবাজার অনলাইনকে টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেছেন, ‘‘অনেক ছবি। এবং আমি লড়াইয়ে বিশ্বাস করি না...।’’
নতুন ছবি-মুক্তির তারিখ পিতৃদিবসের আগে। ছবি জুড়ে জনৈক ‘একা বাবা’র মেয়েকে বড় করে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার গল্প। প্রসেনজিতের তাই দাবি, পিতৃদিবসের আগে বাবা-মেয়ের গল্প নিয়ে তৈরি একটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। এর থেকে ভাল আর কিছু হতেই পারে না! ছবি-মুক্তি পিছনোর বিষয়ে আর কী ভাবনা রয়েছে, জানতে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল পরিচালকের সঙ্গেও। প্রথম এবং প্রধান কারণ হিসেবে শৌভিক বলেছেন, ‘‘বুম্বাদাকে নতুন রূপ দিতে অবশ্যই প্রস্থেটিক রূপটানের বড় ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি, দৃশ্যগুলোকে নিখুঁত করতে আমরা প্রযুক্তির সাহায্যও নিচ্ছি। যার একটা বড় অংশের কাজ বাকি। এবং সেটি সময়সাপেক্ষ।’’ পরিচালকের কথায়, সেই কাজ ২৭ তারিখের মধ্যে শেষ করে ওঠা অসম্ভব। তাই ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে। পরিচালক এবং প্রযোজক জিৎ মদনানি, উভয়েই নিখুঁত ছবি দর্শকদের উপহার দিতে চান।
এক ঝাঁক ছবি একই মাসে মুক্তি পেলে প্রেক্ষাগৃহ পেতে কতটা অসুবিধে হয়, জানেন প্রযোজক-পরিচালকেরা। এই ভিড়ের কারণেই সম্ভবত নন্দন প্রেক্ষাগৃহে জায়গা হয়নি অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’র। কিন্তু এ ভাবেই এক এক করে আরও ছবি-মুক্তি যদি পিছিয়ে যেতে থাকে, তা হলে জুন মাসেও তো সেই আবার ছবির ভিড়? পরিচালকের দাবি, অতিমারির কারণে গত দু’বছর অনেক ছবি তৈরি হয়ে পড়ে ছিল। প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারেনি। ফলে, এই সমস্যা কয়েকটি মাস থাকবেই। ছবিগুলি নিয়মিত মুক্তি পেতে থাকলে কিছু দিন পর আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।
একই সুর ‘বুম্বাদা’র কথাতেও। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভিড় এড়ানো’ কথাটি ঠিক নয়। তবে প্রতিটি ছবির মুক্তির মধ্যে একটু ফাঁক থাকা ভাল। এ কথা তিনিও মানেন। তাই প্রযোজকের সিদ্ধান্ত খুশিমনে মেনে নিয়েছেন।