‘আয় খুকু আয়’ ছবি মুক্তির দু’সপ্তাহ পার। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। ‘খুকু’র বাবা ‘নির্মল কুণ্ডু’র খোলস কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না অভিনেতা! অভিনয়, তার পরে প্রচার। সব মিলিয়ে ‘বুম্বাদা’ এতটাই নির্মল-ময় যে, কাজের বাইরেও তিনি খুকুর বাবা। এখানেই নাকি তাঁকে নিয়ে সমস্যা। সবার হয়ে মুখ খুলেছেন জিৎ। ক্যামেরার সামনেই বলে বসেছেন, ‘‘এ বার চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসো বুম্বাদা। তোমার সঙ্গে কথা বলতে খুব অসুবিধে হচ্ছে!’’
২৫ জুন, শনিবার শৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে কানাডার ছ’টি প্রেক্ষাগৃহে। স্কারবোরো বা রিচমন্ড হিল, ভ্যাঙ্কুভার, মিসিসাগা, এডমন্টন, ক্যালগারি— এই পাঁচ শহরের প্রবাসী বাঙালিরা বিদেশেও দেখতে পাবেন ‘আয় খুকু আয়’। সেই খবর আনন্দবাজার অনলাইনকে দিয়েছেন পরিচালক। একই সঙ্গে খুকু এবং তাঁর পর্দার বাবাকে নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন সমস্যার কথাও জানিয়েছেন। ঘটনা যে রটনা নয়, তার সাক্ষীও প্রসেনজিৎ স্বয়ং। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ এসেছিলেন অভিনেতা। এখানেও সঙ্গী তাঁর পর্দার মেয়ে দিতিপ্রিয়া। অনুরাগীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে তিনি বলেন, ইদানীং নাকি হোয়াটসঅ্যাপে অনেকেই তাঁকে ‘খুকুর বাবা’ সম্বোধন করছেন! এতে বাকিরা ভীষণ রেগে যাচ্ছেন। ‘বুম্বাদা’র কোনও বিকার নেই।
শৌভিকের কথায়, ‘‘এই সমস্যা শুধুই বুম্বাদাকে নিয়ে নয়। একই ঘটনা ঘটাচ্ছেন দিতিপ্রিয়াও। অভিনয়ের সময় ‘বাবা’ ‘বাবা’ ডেকে এমন অবস্থা, পর্দার বাইরেও তিনি বুম্বাদাকে ‘বাবা’ সম্বোধনই করছেন! আমরা অভিনেত্রীর পর্দার আর বাস্তবের বাবাকে গুলিয়ে ফেলছি!’’ যেমন, এক দিন দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর বাবা শ্যুটে এসেছেন। দুপুরে খাওয়ার ছুটি মিলতেই দিতিপ্রিয়ার প্রশ্ন, ‘‘আমার বাবাকে এখনও খেতে দিলে না! বাবা খেয়েছে?’’ ইউনিট কর্মী তড়িঘড়ি ছুটেছেন দিতিপ্রিয়ার আসল বাবার কাছে। সেটা জেনেই অভিনেত্রী সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘আমি তো বুম্বা মামুর কথা বলছিলাম।’’ পরিচালকের দাবি, এগুলোও অনেকে প্রচারের অঙ্গই ভাবছেন। ছবির টিম জানে, পর্দার ‘বাবা’ আর ‘খুকু’ বন্দি তাঁদের চরিত্রের খোলসে!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।