প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী
বড় পর্দা, ছোট পর্দার মতোই রাজনৈতিক অন্দরমহলেও অনায়াস গতিবিধি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। বুধাবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট একান্তে কথা বলেছেন তিনি। খবর ছড়াতেই গুঞ্জন শুরু, টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ কি এ বার রাজনীতিতেও? যদিও আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় ‘বুম্বাদা’ বলেছিলেন, ‘‘অদূর ভবিষ্যতেও রাজনীতিতে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’ সে কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন এ দিনও। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অভিনেতার দাবি, ‘‘নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কোনও রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে নেই এখানে। সময় পেলে দিদি আমাকে, গৌতম ঘোষকে ডেকে পাঠান। টলিউডের খবর খুঁটিয়ে শোনেন। বহু দিন আমরা মুখোমুখি হইনি। বুধবার দিদি-র সঙ্গে কিছু ক্ষণ সময় কাটালাম।’’
আলাপচারিতায় কোন কোন দিক উঠে এল? বাংলা বিনোদন দুনিয়া নিয়ে নতুন কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?
পর্দার ‘নির্মল মণ্ডল’-এর দাবি, এ দিন মূলত পারিবারিক কথাই বেশি হয়েছে। ছেলে তৃষাণজিৎ সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমও খাইয়েছেন ‘বুম্বাদা’কে। ২০ মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাৎ কথায় কথায় গড়িয়ে গিয়েছে ৪০ মিনিটে! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের মতোই কাজের দুনিয়াতেও অনুরাগীদের একের পর এক চমক দিয়েই চলেছেন প্রসেনজিৎ। কিছু দিন আগেই তাঁর নতুন ছবি ‘আয় খুকু আয়’-এর প্রচারে জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁর ৩৫টি ছবির নায়িকার মুখোমুখি হতেই স্মৃতিকাতর উভয়েই। অতীত ফিরে দেখতেই নানা ঘটনা, গল্পের সারি।
পাশাপাশি তাঁকে দেখা গিয়েছে স্টার জলসার ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চেও। সঙ্গিনী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বিজয়েতা পণ্ডিত। ‘অমরসঙ্গী’র জুটি আজও জনপ্রিয়, শো-এর ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই টের পেয়েছেন সবাই। এ ছবি ঘিরে আজও প্রসেনজিতের বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। প্রসঙ্গ উঠতেই তাই বললেন, ‘‘বিজয়েতার দুই ছেলেও এসেছিল শো-তে। বলল, ওরাও ছবিটা দেখেছে। দারুণ লেগেছে ওদেরও। ওদের বাড়িতে নাকি ছবির গানগুলো প্রায়ই বাজে।’’
একে একে পুরনো নায়িকাদের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন বু্ম্বাদা। ১৪ বছর পরে নতুন করে জুটি বেঁধেছেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে। দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে পর্দায় কবে দেখা যাবে তাঁকে? প্রশ্ন রাখতেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’র গলায় ব্যস্ততা, ‘‘মিটিং আছে। আবার পরে কথা বলি?’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।