Ndew Bengali Film

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি আদৌ নিরাপদ মেয়েরা! অন্দরের ভয়াল দৃশ্য দেখাতে আসছে ‘ঝুমুর’

গ্রাম থেকে শহরে এসেছে এক আদিবাসী কন্যা। সে কি পারবে ঝাঁ চকচকে আধুনিকতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৫
Share:

জন ভট্টাচার্য এবং রাজশ্রী ‘ঝুমুর’ ছবিতে। ছবি: সংগৃহীত।

একুশ শতকের তৃতীয় দশকে পৌঁছে এক দিকে নারীশক্তির জয়গান। অন্য দিকে, সেই নারীরই বিপন্নতা। যেমন শহরে তেমনি গ্রামাঞ্চলে। ঝুমুর মুর্মুর কথাই ধরা যাক। আদিবাসী কন্যা, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে এসেছে শিক্ষিত হওয়ার আশায়। মেধাবী, খেলাধূলাতেও সমান দক্ষ। শহরে এসে ভর্তি হয় এক নামী বিশ্ব বিদ্যালয়ে। নতুন শহর, নতুন সম্পর্ক, প্রেম, বন্ধুত্ব। কিন্ত হঠাৎই ছাত্রীনিবাসের ঘরে এক বান্ধবীর আত্মহত্যা বদলে দেয় ঝুমুরের জীবন। এই আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে ঝুমুরের মনে হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কি মেয়েরা আদৌ সুরক্ষিত? এত দিন আত্মরক্ষার জন্য ঝুমুরকে লড়াই করতে হয়েছে গ্রামের জঙ্গলের মানুষখেকো শিয়ালের সঙ্গে।

Advertisement

সেই ছবি বদলায়নি শহরে এসেও। এই শহর কলকাতার মানুষরূপী নরখাদকদের সঙ্গে সে কি লড়াই করতে পারবে?

প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক মেয়ের এই লড়াই ক্যামেরায় বন্দি করে বড় পর্দায় আনতে চলেছেন পরিচালক বরুণ দাস। সেখানেই প্রথম ছবিতে লড়াকু মেয়ে ঝুমুরের চরিত্রে অভিনয় করলেন রাজশ্রী। যিনি এই ছবির অন্যতম প্রযোজক। ছবিতে তাঁর বিপরীতে ‘খাদান’-খ্যাত জন ভট্টাচার্য। ‘ঝুমুর’ রাজশ্রীকে আমূল বদলে দিয়েছে। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে তিনি দু’বছর সময় নিয়েছেন। আদিবাসীদের গ্রামে থেকে তাঁদের ভাষা, আচরণ, আদবকায়দা রপ্ত করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্ট, তলোয়ার চালানো, লাঠি খেলা, ফুটবল ইত্যাদি শিখেছেন।

Advertisement

‘ঝুমুর’ ছবিতে সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রাজশ্রী।

আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে রাজশ্রীর দাবি, “বাংলায় এই প্রথম কোনও নায়িকা দৃশ্য জীবন্ত করতে শিয়ালের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” ছবিতে রাজশ্রী-জন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা, সাহেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। যৌথ প্রযোজক হিসেবে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত চুঁচুড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী সত্যরঞ্জন শীল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement