পুজোর আগে অগস্টের চলতি সপ্তাহে নতুন সাজে খুলে গেল প্রাচী।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রাচী প্রেক্ষাগৃহ। সিনেমা হলের ছাদ ভেঙে পড়েছিল। বহু পুরনো হওয়ায় ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ছবি দেখানোর পর্দাও। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা অতিমারি। দর্শক আনাগোনা বন্ধ হওয়ায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের লকডাউনকেই প্রেক্ষাগৃহ সংস্করণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কর্ণধার বিদিশা বসু। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, হল সংস্কারের কাজ শেষ হলেই নতুন ছবি আনার কথা ভাববেন। সেই মতোই পুজোর আগে অগস্টের চলতি সপ্তাহে নতুন সাজে খুলে গেল উত্তর কলকাতার পুরনো সময়ের সাক্ষী এই সিঙ্গল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহটি। ইতিমধ্যেই ছবি সহ এই খবর সামাজিক পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সাধুবাদ জানিয়েছেন অরিন্দম শীল।
নতুন করে সাজানো হলের ছবি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন বিদিশাও। ছবি বলছে, সিঁড়িতে পাতা উজ্জ্বল লাল গালিচা। নতুন, আরামদায়ক লাল গদি মোড়া আসন। তাতে প্রাচী সিনেমা হলের লোগোর ছাপ স্পষ্ট। পুরনো স্ক্রিন বদলে সেখানে টাঙানো নতুন পর্দা। বিদিশার দাবি, দর্শকেরা আর ঝাপসা নয়, ঝকঝকে ছবি দেখতে পাবেন। একই সঙ্গে পর্দার সামনের চওড়া অংশও লাল ঙ্গালিচায় মোড়া। এ ছাড়া, প্রেক্ষাগৃহের ভিতরটিও অন্যান্য হলগুলোর মতোই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।
উত্তর কলকাতার পুরনো সময়ের সাক্ষী এই সিঙ্গল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহটি।
আপাতত একটি বাংলা এবং একটি নতুন হিন্দি ছবি ‘মুখোশ’ আর ‘বেলবটম’ চলছে প্রাচীতে। আগামী সপ্তাহে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও একটি নতুন হিন্দি ছবি ‘চেহরে’। দিশা জানিয়েছেন, চারটি শো চলবে। তবে প্রতি সপ্তাহেই শো-এর সময় বদলাবে। আপাতত সকাল সাড়ে এগারোটা, দুপুর দুটো, বিকেল সাড়ে চারটে, সন্ধে পৌনে সাতটায় দেখানো হবে ছবি। যুগল দর্শক কি পাশাপাশি বসে ছবি দেখতে পারবেন? বিদিশার বক্তব্য, ‘‘করোনা বিধি অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বের কোথাও পাশাপাশি বসে ছবি দেখার অনুমতি নেই। ফলে, এই অনুমতি আমিও দিতে পারছি না। আশা করছি, নিরাপত্তার খাতিরে এটুকু দর্শকরা নিজ গুণে মেনে নেবেন।’’
আপাতত একটি বাংলা এবং একটি নতুন হিন্দি ছবি ‘মুখোশ’ আর ‘বেলবটম’ চলছে প্রাচীতে।
দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রতি শো-এর আগে-পরে প্রেক্ষাগৃহ পরিষ্কার করা হবে। পরিষ্কার করা হবে শৌচালয়। এত দিন প্রাচীতে বাংলায় ছাপানো টিকিট ব্যবহার করা হত। বিদিশার কথায়, ‘‘এ বার থেকে যাঁরা অনলাইনে টিকিট কাটবেন তাঁরা মোবাইলের টিকিট দেখিয়েই হলে বসে ছবি দেখতে পারবেন।’’