(বাঁ দিকে) কর্ণ জোহর। ঝিলম গুপ্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বোকা বাক্সের গণ্ডি ছাড়িয়ে মানুষের জীবন এখন মুঠোফোনে বন্দি। দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সমাজমাধ্যম। এই সমাজমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এই মুহূর্তে অনেকেই হয়ে উঠেছেন তারকা। বাংলায় যে সব সমাজমাধ্যম প্রভাবীরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঝিলম গুপ্ত। অর্থহীন কনটেন্ট নয়, বরং হাস্যরসের সঙ্গে ঝিলম তাঁর কনটেন্টে দিয়েছেন বুদ্ধির মারপ্যাঁচ। এ বার এই ঝিলম ইউটিউবের গণ্ডি ছাড়িয়ে আত্মপ্রকাশ করলেন ওটিটি-র পর্দায়। সিরিজ়টি মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজ়ন প্রাইমে, প্রযোজক কর্ণ জোহর। তবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে সোজা অভিনেতা হওয়া কী ভাবে সম্ভব? জানালেন ঝিলম।
পরিচালক কলিন ডি কুনহার ডকু-ফিকশন ছবি ‘লভ স্টোরিয়া’-এর মাধ্যমে, সর্বভারতীয় স্তরে আত্মপ্রকাশ করলেন এই নেটপ্রভাবী। বাস্তব জীবনের বিভিন্ন বয়সের দম্পতিদের প্রেমের আখ্যানকেই তুলে ধরেছেন পরিচালক। এই সিরিজ় কেবল ছেলেমেয়ের সম্পর্কের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি, উঠে এসেছে রূপান্তরকামীদের জীবনের গল্পও। এ রকমই একটি দম্পতির গল্পে ‘দীপন’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঝিলম। কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে অভিনয় জগতে পা রাখা কী ভাবে সম্ভব? ঝিলম আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘কনটেন্ট ক্রিয়েশনটা ঠিকঠাক ভাবে করলে লোকের সুনজরে আসা যায়।’’ আর অভিনয় করার ইচ্ছেটা তাঁর ছোট থেকেই। সেই কারণে এই সুযোগ পেতেই নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই সিরিজ়ের কলকাতার অংশের কাস্টিং করেছিলেন অনিমেষ বাপুলি। তিনিই ঝিলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
যদিও এর আগে ‘কলকাতা চলন্তিকা’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে কাজ করেছেন ঝিলম। তবে এ বার একেবারে দর্শকের গণ্ডি অনেকটা বড়। তাঁর কথায়, ‘‘ভাল কিছু করব জানতাম। তবে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম পাব ভাবিনি। এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। মুম্বইয়ের এত বড় প্রযোজনা সংস্থা হওয়ায় সুবিধা হয়েছে যে, একসঙ্গে বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছনো গিয়েছে। সেটা একটা বড় পাওনা।’’ তবে কি আপাতত ইউটিউব ছেড়ে অভিনয়েই মন দেবেন তিনি? ঝিলমের উত্তর, ‘‘অভিনয় করতে সব সময় ভাল লাগত। ভবিষ্যতে সুযোগ এলে মন দিয়ে করব, সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।’’