Celeb controversy

মেট্রোয় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি! ধর্মীয় গানের অনুমতি পায় কী করে? ভিডিয়ো দেখে প্রশ্ন পূজার

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, মুম্বই মেট্রোর একটি কামরায় উচ্চস্বরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির সঙ্গে ধর্মীয় গান গাইতে গাইতে চলেছে একদল তরুণ-তরুণী। এতেই তীব্র আপত্তি পূজার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৩
Share:

ধর্মে আছেন না নেই পূজা ভট্ট? ছবি: ফেসবুক।

“এ বার থেকে সর্বজনীন স্থানেও প্রকাশ্যে ধর্মীয় নামগান চলবে?” রবিবার একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে প্রশ্ন তুললেন পূজা ভট্ট। প্রশ্ন তুলে তিনি নেটাগরিকদের কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন। তার পরেও অভিনেত্রীর তোলা প্রশ্ন নতুন ভাবনা তৈরি করেছে সমাজমাধ্যমে। খবর, মুম্বই মেট্রোর একটি কামরায় একদল তরুণ-তরুণী প্রকাশ্যে নবরাত্রি পালন করেন। সেখানেই তাঁদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এই ভিডিয়ো পূজার চোখে পড়তেই তোপ দাগেন তিনি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে পূজার কোথায় আপত্তি? নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তাঁর যুক্তি, “প্রকাশ্যে, ট্রেন বা বাসের মতো সর্বজনীন স্থানে এ ভাবে ধর্মীয় গান গাওয়ার অনুমতি কী করে দেওয়া হয়?” তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুদের ধর্মীয় গান হোক বা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ক্যারোল কিংবা বলিউডি গান— যে কোনও পরিবেশেই কি এই ধরনের গান গাওয়া যেতে পারে? যদি যায়, তা হলে এই ধরনের কাজের অনুমতি দেয় কে? পূজা এখানেই থামেননি। তাঁর ভর্ৎসনা, ভারত সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। এই দেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারেন। তার মানে কি এই যে, যে কোনও স্থান ধর্মীয় আচার পালনের জায়গা হয়ে উঠবে!

পূজা এই বক্তব্য রাখার পরেই সমাজমাধ্যমে যথারীতি রে-রে করে ওঠেন একদল নীতিপুলিশ। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, মেট্রোর নির্দিষ্ট একটি কামরা ভাড়া করে ওই যাত্রীরা যাচ্ছিলেন। বাকি কামরাগুলোয় কিন্তু তাঁরা একই ঘটনা ঘটাননি। পূজার এই বক্তব্যকে ‘যথেষ্ট ধর্মবিদ্বেষী’ বলতেও ছাড়েননি তাঁরা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে অভিনেত্রী নিজেই কপালে তিলক কেটে, মহাদেবের ছবি আঁকা পোশাকে সোজেছিলেন!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement