Sreemoyee-Pinky

‘ধন্যবাদ মহান উক্তির জন্য, ওশ বাবাকে মিস্ করে না’ সন্তান প্রসঙ্গে শ্রীময়ীকে

ওশের জন্য তাঁদের বাড়ির দরজা সব সময় খোলা— এমনই বার্তা দিয়েছেন শ্রীময়ী। পাল্টা কৃষভিকে নিয়ে কী বললেন পিঙ্কি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৯
Share:

শ্রীময়ী ওশকে নিয়ে করা মন্তব্যে জবাব দিলেন পিঙ্কি। গ্রাফিক-আনন্দবাজার অনলাইন।

নিজের ছবির প্রচারে ‘সন্তান সন্তান সন্তান’ স্তুতি রাজ চক্রবর্তীর কণ্ঠে। মঙ্গলবার এই ছবির বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সদ্য তাঁদের পরিবারে এসেছে সন্তান। মেয়ে কৃষভির নামে অজ্ঞান বাবা কাঞ্চন, এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান স্ত্রী শ্রীময়ী। তবে কাঞ্চনের আরও এক সন্তান রয়েছে। সে ওশ। কাঞ্চন ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের বয়স যখন ১০ বছর, সেই সময় বিচ্ছেদ হয় কাঞ্চন-পিঙ্কির। তাঁর মাস কয়েকের মধ্যে নতুন করে শ্রীময়ীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক অভিনেতা। এ বার ‘সন্তান’ দেখে শ্রীময়ী আনন্দবাজার ডট কমকে কাঞ্চনের ছেলে যে তাঁর সন্তানসম, এমনকি ওশের জন্য তাঁদের বাড়ির দরজা সব সময় খোলা, এমনই বার্তা দিয়েছেন। এমনকি, ছেলেকে যে বাবা মিস্ করেন সেটাও স্পষ্ট করেন। শ্রীময়ী এমন অনুভূতির পাল্টা উত্তর দিলে পিঙ্কি।

Advertisement

শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘ওশ তো আমারও সন্তানসম। আমার কাছে কৃষভি যা, ওশ-ও তাই। কাঞ্চন ছেলেকে প্রচণ্ড ভালবাসে, আজও। প্রতি পদে মিস করে। জানি না, ওশ বড় হয়ে কাঞ্চনের এই অনুভূতি বুঝবে কি না। তবে আমার দিক থেকে বলছি, আমাদের বাড়িতে ওশের অবারিত দ্বার। ওশ কোনও দিন যদি কাঞ্চনের কাছে এসে দাঁড়ায়, থাকতে চায় আমাদের কাছে, ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হয়ে বাধা দেব না।’’ তাতে পিঙ্কি জানান, ভবিষ্যতে কী হবে না হবে, সব উত্তর সময় দেয়। কিন্তু তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ ঠিক আছে, ধন্যবাদ ওঁর মহান উক্তির জন্য। ওশ বাবাকে মিস্ করে না। আমারা চাই ওঁরা খুব ভাল থাকুন। যতটা ভাল থাকা যায়। আর আমার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়নি। যা হয়েছে, ভাল হয়েছে।’’

ছেলে ওশ এখন বয়ঃসন্ধিতে পা দিয়েছে। ও দিকে সমাজমাধ্যম খুললেই কাঞ্চন-শ্রীময়ী ও তাঁদের নতুন সন্তানকে নিয়ে নানা চর্চা। ছেলেকে কী সে সব থেকে সচেতন ভাবে দূরে রাখেন? পিঙ্কি জানালেন, ছেলেকে সে ভাবেই বড় করছেন, যাতে সে নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলে পড়াশোনায় ভাল হয়েছে, শিক্ষকদের কথা শোনে। সে দিক থেকে বাধ্য। আসলে আমি একটাই কথা বিশ্বাস করি, গাছের ফল বলে দেয় গাছের পরিচর্যা কেমন হয়েছে। আমার মনে সন্তান মানুষ করার সময়টা হল তপস্যা করার মতো। সেই সময় সেটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলা উচিত নয়। আর এক শ্রেণির বাচ্চাদের নাগালে সুশিক্ষার সুযোগ আছে। তাদের কাছে ফোনে দেখার জন্য এত ভাল জিনিস রয়েছে, তার পরে গসিপ বা জঞ্জাল দেখার সময় ওদের নেই।’’ কিন্তু ওশকে যে হেতু ‘সন্তানসম’ বলেছেন শ্রীময়ী, কৃষভির প্রতিও একই মনোভাব পিঙ্কির। তাঁর কথায়, ‘‘ও খুব ভাল থাকুক, এই ব্রহ্মাণ্ড যেন ওকে সব খারাপের থেকে রক্ষা করে। খুব ভাল থাকুক।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement