পায়েল রায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
একেবারেই সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান নয়। প্রশ্নোত্তরের অনুষ্ঠানে সবাইকে প্রশ্ন করার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আবহ পুরো বদলে গেল পায়েল সরকার মুখ খুলতেই। তিনি একের পর এক গুগলি ছুড়লেন দাদাকে। বিসিসিআই সভাপতি হাসতে হাসতে সামলালেন সে সব।
সম্প্রতি প্রচারের কারণে জি বাংলার দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন 'অনুসন্ধান' ছবির পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। দলে ছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, ঋদ্ধি সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার। দাদাকে হাতের মুঠোয় পেয়ে কেউ ছাড়ে? সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেছেন সব্বাই। সেখানেই পায়েলের কৌতূহল, ‘‘যবে থেকে দেখছি, তুমি একই রকম আছ! তোমার প্রেমে এখনও প্রচুর মেয়েরা পড়ে...। ’’ অভিনেত্রীকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সৌরভের আক্ষেপ, ‘‘আমি তো শুনিই... দেখতে পাই না!’’ সৌরভ-পায়েলের কথা শুনে হাসি চাপতে পারেননি দলের বাকিরা। এর পরেই হাসতে হাসতে স্ত্রী ডোনার নাম না করেই দাদার রসিকতা, ‘‘আর বাড়িতে ঢুকতে দেবে না আমাকে।’’ এ সব বলেও কিন্তু নিস্তার পাননি তিনি। পায়েল যেন মুখিয়েই ছিলেন, ‘‘ডোনাদি যখন রেগে যায়, তখন তুমি কী কর?’’ এ বার দাদার গুগলি, তিনি বাড়িতেই থাকেন না সেই সময়। বাইরে বেরিয়ে যান।
‘দাদা’র প্রেমে মেয়েদের হাবুডুবু খাওয়ার উদাহরণ প্রচুর আছে। কয়েকটি পর্ব আগেই ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করেছেন বিমান সেবিকা সৌমিলি! প্রতিযোগিনী সৌরভকে সামনাসামনি দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি। কবিতার সুরে সরাসরি বলেছেন, ‘‘সৌরভ তুমি আমার!’’ শুনেই লজ্জায় লাল ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। একই সঙ্গে মুগ্ধও প্রতিযোগিনীর প্রতিভায়। অভিনয় এবং নাচের প্রতি আসক্ত ছিলেন সৌমিলি। নেপথ্যে বাজতে থাকা কবিতার মাধ্যমে অভিনয় করে জানান, কী ভাবে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সৌরভের পোস্টার কিনতেন। তাই দিয়ে সাজাতেন নিজের ঘর।
পায়েলের প্রশ্নবাণেই কিন্তু শেষ নয় সৌরভের সাক্ষাৎকার পর্ব। অভিনেত্রী থামতেই মুখ খোলেন কমলেশ্বর। জানতে চান, উত্তমকুমার বেঁচে থাকলে সৌরভ তাঁকে কী প্রশ্ন করতেন? ‘দাদা’ যেন উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরিই ছিলেন। জানালেন, সবার আগে জিজ্ঞাসা করতেন, ‘‘ভরপেট খেয়েও তিনি কী করে এত সুন্দর থাকতেন? ’’ পরিচালক তখন জানিয়েছেন, এক জামবাটি মাংস খেতেন নাকি মহানায়ক।