‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’—প্রবাদটা অনেক সময় কথার কথা-ই থেকে যায়, সত্যি হয় না। সেই সূত্রেই বলিউডের কিছু সফল শিশুশিল্পী পরবর্তী সময়ে তারকা হয়েছেন। আবার অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন অকালে। সে রকমই এক জন রবি ভলেচা।
রবির জন্ম ১৯৭৬ সালের ৬ জুন। পাঁচ বছর বয়সে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মাস্টার রবি নামে। নাম শুনে চিনতে পারার কথা নয়। কিন্তু রবির সেই সময়কার মুখ দেখলে এক লহমায় মনে পড়ে বিগ বি অভিনীত চরিত্রগুলির কথা।
বেশির ভাগ ছবিতে রবি অভিনয় করতেন অমিতাভ বচ্চনের শৈশবের ভূমিকায়। তবে অভিনয়ের সূত্রপাত জুনিয়র বিগ বি হিসেবে নয়। রবি তাঁর কেরিয়ারে প্রথম যে ছবিতে অভিনয় করেন, তার নাম ‘ফকিরা’। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৬ সালে।
তবে রবি পরিচিতি পান অমিতাভের শৈশববেলার ভূমিকায় অভিনয় করেই। জুনিয়র অমিতাভ হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’ ছবিতে। এই ছবি থেকেই জনপ্রিয়তা পান তিনি।
‘শক্তি’, ‘কুলি’, ‘দেশপ্রমী’, ‘মিস্টার নটবরলাল’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন রবি। শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনশোর-ও বেশি ছবিতে।
কিন্তু যে অভিনেতা শুরুতেই এত সাফল্য পেয়েছেন, তিনি পরবর্তী সময়ে হারিয়ে গেলেন কেন? রবি নিজে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি ছোটবেলায় ক্রমাগত অভিনয় করে যাওয়ায় পড়াশোনায় বিশেষ মন দিতে পারেননি।
বড় হয়ে তাঁর জীবনে পাখির চোখ হয়ে দাঁড়ায় লেখাপড়া। আমদাবাদের ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স সম্পূর্ণ করেন। এর পর ডিপ্লোমা করেন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্সে। আজ তিনি এক জন সফল পেশাদার।
টিনসেল টাউন থেকে বহু দূরে তিনি আজ এক জন সফল ব্যবসায়ী। কাজ করেছেন নামীদামি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক অংশের সঙ্গে।
পাশাপাশি রবি এক জন রন্ধনশিল্পী। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও তিনি যুক্ত।
শৈশব কাটিয়ে অভিনয়কে বিদায় জানানোর পরে আরও এক বার তিনি ফিরেছিলেন অভিনয়ে। দূরদর্শনে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘শান্তি’-তে তাঁকে দু’একটা এপিসোডে দেখা গিয়েছিল।
অক্ষয় কুমারের ছবি ‘গোল্ড’-এ রবি ভলেচা এক ঝলকের জন্য পর্দায় এসেছিলেন। তবে দর্শকচোখে তিনি কার্যত ধরা-ই পড়েননি।
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার জগতকে এখনও মিস করেন তিনি। জানিয়েছেন রবি। তবে এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরলে তিনি ফিরবেন পরিচালক হয়ে। ক্যামেরার সামনে আর আসতে চান না।