‘ওএমজি ২’ ছবিতে অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
ছবি মুক্তির আগে থেকেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন তথা সিবিএফসির তরফে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। অবশেষে ‘এ’ ছাড়পত্র মেলার পরে নির্ধারিত দিনে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার, পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও ইয়ামি গৌতম অভিনীত ছবি ‘ওএমজি ২’। ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়ার পরে বক্স অফিসে ভাল ব্যবসাও করছে অমিত রাই পরিচালিত এই ছবি। ‘ইউ/এ’ নয়, ‘এ’ ছাড়পত্র নিয়ে মুক্তি পাওয়ার পরেও ছবির সাফল্যে আপ্লুত অক্ষয় কুমার-সহ ছবির অন্য কলাকুশলী ও নির্মাতারা। তবে ছবিতে কাজ করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ছবি দেখে উঠতে পারেননি ‘ওএমজি ২’-এর অন্যতম অভিনেতা আরুষ বর্মা। ছবিতে কান্তি শরণ মুদগলের (পঙ্কজ ত্রিপাঠী) ছেলে বিবেকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরুষ। অথচ নিজেই নিজের অভিনীত ছবি দেখার ছাড়পত্র পাননি তিনি। সেন্সর বোর্ডের কাছে ‘এ’ শংসাপত্র বদলের আবেদন জানিয়ে পিটিশন দাখিল করলেন আরুষ। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই লিঙ্ক শেয়ার করে সবাইকে পাশে থাকার আর্জিও জানালেন তিনি।
আরুষ শর্মার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
আরুষের কথায়, ‘‘পরিচালক অমিত রাইয়ের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটা বুঝেছি, ছবির উদ্দেশ্যই ছিল যৌনশিক্ষা নিয়ে যাতে সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা যায়। এ দিকে, ‘এ’ শংসাপত্র পাওয়ার ফলে সেই উদ্দেশ্যই সফল হচ্ছে না। ‘ওএমজি ২’ আমাদের মতো কিশোর-কিশোরীদের জন্যই তৈরি করা। পাশপাশি, বাবা-মায়েরাও যাতে আরও সচেতন হতে পারেন, সেটাই ছবির মূল লক্ষ্য। আমি নিজে ১৬ বছর বয়সি এক জন কিশোর। আমি নিজেও এখনও সব প্রশ্নের উত্তর জানি না। এই ছবি সেই দিক থেকে ভীষণ কার্যকরী একটা প্রয়াস। আমি আবেদন করব, আপনারা সবাই এই পিটিশনে সই করুন যাতে সেন্সর বোর্ড ‘ওএমজি ২’-এর ‘এ’ শংসাপত্র বদলে দেয়। যাতে আমি ও আমার বয়সি বন্ধুরা সবাই এই ছবিটা দেখার সুযোগ পাই।’’
গত ১১ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমারের ছবি ‘ওএমজি ২’। ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ওএমজি – ও মাই গড’। ওই ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন পরেশ রাওয়াল।