সৌজন্য বিনিময়টুকুও করতে রাজি নন একদা দম্পতি।
একে অপরের মুখ দেখতে নারাজ। পারতপক্ষে চোখাচোখিও এড়িয়ে যেতে পারলে যেন বেঁচে যান! বিচ্ছেদের সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে সামান্থা প্রভু এবং নাগা চৈতন্যের সম্পর্কের মিষ্টতা। এমনকি সৌজন্য বিনিময়টুকুও করতে রাজি নন একদা দম্পতি। অন্তত সে রকমই গুঞ্জন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আনাচেকানাচে।
দু’জনের মাঝে এমন টানাপড়েনে হায়দরাবাদের রামানাইডু স্টুডিয়োর পরিবেশ আপাতত থমথমে। কারণ একই জায়গায় শ্যুট করছেন নাগা এবং সামান্থা। দু’জনেই চাইছেন শ্যুটিং ফ্লোরে এক বারও যাতে তাঁদের দেখা নয়। দুই তারকাই সে বিষয়ে তাঁদের সহকারীদের নজর রাখতে বলেছেন। নতুন ছবি ‘যশোদা’-র জন্য শ্যুট করছেন সামান্থা । নাগা শ্যুট করছেন ‘বঙ্গরজু’ ছবির জন্য। অভিনেতার সঙ্গেই রয়েছেন তাঁর বাবা নাগার্জুন। কাজের ফাঁকে আকস্মিক চোখাচোখি এড়াতে বাড়তি সতর্ক প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, কাজ শেষ হতেই আর কোনও কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে সোজা গাড়িতে উঠে বাড়ি রওনা দিচ্ছেন দুই তারকাই।
অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন দক্ষিণী ছবির তারকা-দম্পতি। ঠিক কী কারণে তাঁদের পথ আলাদা হচ্ছে, সে বিষয়ে খোলসা করে কেউই কিছু বলেননি। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের জল্পনা বলছে, সামান্থার দাম্পত্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাঁর পেশা। শোনা যাচ্ছে, নাগা এবং তাঁর পরিবার চাননি সামান্থা কোনও ছবিতে ‘সাহসী’ চরিত্রে বা ‘আইটেম’ গানে কাজ করুন। শ্বশুরবাড়ির চাপিয়ে দেওয়া এই ‘ফতোয়া’ মেনে নিতে পারেননি ‘ফ্যামিলি ম্যান’-এর ‘রাজি’। এর পরেই নাকি সম্পর্কে ভাঙন ধরে তাঁদের।