রুকমা গিয়ে পড়লেন সাপের রাজ্যে
পানভেলের খামারবাড়িতে বন্ধুদের জমাটি আড্ডা। তার মধ্যেই সাপের কামড় খেয়েছিলেন সলমন খান। তোলপাড় বলিউড। দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন অনুরাগীরাও। জানেন কি, শ্যুটিংয়েই সাপের কবলে পড়েছিলেন খাস টলিউডের মেয়ে রুকমা রায়? এক বার নয়, দু-দু’বার!
রুকমার সাপের ভয় সাংঘাতিক। ‘খড়কুটো’র অভিনেত্রী সাপের সঙ্গে মোলাকাতের সুযোগ থেকেই সাড়ে সতেরো হাত দূরে থাকতে ভালবাসেন বরাবরই। সেই মেয়েই নাকি সোজা গিয়ে পড়লেন সাপের রাজ্যে!
রুকমার কথায়, “তখন কিরণমালার শ্যুটিং চলছে। আউটডোরে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি আর ধারাবাহিকের ‘নাগকন্যা’। দূরের শট। ক্যামেরা-সহ ইউনিটের বাকিরা বেশ অনেকটা দূরে। যাই হোক, লাইট, ক্যামেরা রেডি। ‘অ্যাকশন’ কানে আসার আগেই ঠিক পাশেই কোথাও হিসহিসিয়ে একটা অদ্ভুত শব্দ! এ দিক-ওদিক তাকাতে গিয়ে আমার ওখানেই হাড় হিম হওয়ার জোগাড়! ঠিক দু’হাত দূরে একটা সাপ! একেবারে ফনা তুলে! কোথায় ক্যামেরা, কোথায় কী! সব ভুলে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটতে শুরু করেছিলাম। ইউনিটের বাকিদের সামনেটায় পৌঁছে নাকি অজ্ঞান হয়ে যাই!”
সেই প্রথম। তবে সেই শেষ নয়। শ্যুটিংয়ে আবারও সাপের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ‘কিরণমালা’কে। সে দিন বাইপাসের কাছে এক ভেড়িতে শ্যুটিং। জলের মাঝখানে ভেলায় চেপে চলেছেন রুকমা ও তাঁর পর্দার মা অদিতি চট্টোপাধ্যায়। টুকটাক সংলাপ বলছেন। আর পাড় থেকে তাঁদের ক্যামেরাবন্দি করছেন পরিচালক। বাকি ইউনিটও পাড়েই। আচমকা রুকমারই চোখে পড়ল জলে তাঁদের ভেলার ঠিক পাশে পাশে চলেছে সবজেটে রঙের সাপ। ভেলা বেয়ে উটে আসার উপক্রম করতেই রুকমার গা-হাত-পা ঠান্ডা! আর তার পরেই জুড়লেন পরিত্রাহি চিৎকার।
‘সাপে’ বর একটাই। এ সাপের বিষ ছিল না। রুকমা হাসতে হাসতেই বলেন, “প্রাণের ভয়ে যত জোরে পারি চেঁচাচ্ছিলাম। পাশ থেকে অদিতিদি যত বলছে, এই সাপে বিষ নেই, আমি কী আর শুনি! সাপ তো রে বাবা! আমার চিৎকারে পাড়ে দাঁড়ানো পরিচালকও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন!”