ববি দেওল
প্র: সকলে বলছে, এটা আপনার দ্বিতীয় ইনিংস। বিষয়টাকে আপনি কী ভাবে দেখছেন?
উ: খুব আনন্দ হচ্ছে। এ রকম প্রশংসা অনেক দিন পরে শুনতে পেলাম। একজন অভিনেতা কীসের জন্য অভিনয় করে? স্বীকৃতির জন্য। আমি এই সময়টাকে উপভোগ করতে চাই। এখন একটাই লক্ষ্য, ভাল কাজ করে যাওয়া।
প্র: ‘ক্লাস অফ ’৮৩’ এবং ‘আশ্রম’, দু’টিতেই আপনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আপনার নিজের অভিজ্ঞতা কী রকম ছিল?
উ: সৌভাগ্যবশত দুটো চরিত্রই একদম বিপরীত। ওয়েব মুভি ‘ক্লাস অফ ’৮৩’-র আগেও আমি পুলিশ অফিসারের চরিত্র করেছি, যেগুলো ভীষণ ফিল্মি। কিন্তু বিজয় সিংহ (ক্লাস অফ ’৮৩) একজন রক্তমাংসের সাধারণ মানুষ। সেটাই দর্শকের পছন্দ হয়েছে। আর ‘আশ্রম’ হল প্রকাশ ঝা-র প্রথম ওয়েব সিরিজ। আমি বরাবর ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। তাই অফার পাওয়ার পরে দ্বিতীয় বার চিন্তা করিনি। প্রকাশ ঝা-র মতো পরিচালকের অফার কেউ ফেরায়!
প্র: একজন গডম্যানের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আপনাকে নতুন করে কিছু শিখতে হয়েছে?
উ: আমার হিন্দি কিন্তু একদম ‘মুম্বইকর’দের মতো। আর ‘আশ্রম’-এ আমাকে বিশুদ্ধ হিন্দিতে সংলাপ বলতে হয়েছে। তা শেখানোর জন্য সেটে একজন টিচার ছিলেন। আর আমি কোনও রেফারেন্স ফলো করিনি। পরিচালকের নির্দেশ মেনে কাজ করেছি।
প্র: আপনার বাবা ধর্মেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব অ্যাক্টিভ। ভক্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখেন...
উ: বাবা হলেন পিপল’স পার্সন, খুব পজ়িটিভ মানুষ। সকলেই ওঁকে খুব ভালবাসেন। বাবাকে দেখে এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। ধর্মেন্দ্রর ছেলে বলে আমি খুব গর্ব বোধ করি।
প্র: আপনার চেহারা দেখে কিন্তু বয়স বোঝার উপায় নেই!
উ: (হেসে) আনন্দে থাকা, এটাই এর সবচেয়ে বড় সিক্রেট! ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাটাও খুব জরুরি। তবে হ্যাঁ, কিছুটা জিনের ব্যাপারও রয়েছে। আমার দেখা সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ আমার বাবা। উনি সব সময়ে বলেন, ভাল স্বাস্থ্যই হল আসল সম্পদ।
প্র: অতিমারি পরিস্থিতির জন্য সিনেমা হল বন্ধ। ছবি মুক্তি পাচ্ছে না বড় পর্দায়। এ অবস্থায় নিজেকে কতটা অসহায় মনে হয়?
উ: সারা পৃথিবী এই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে কারও টাকা আটকে থাকছে না। দর্শকও আগ্রহের সঙ্গে ছবি, সিরিজ় দেখছেন। নিজের ক্ষেত্রে বলব, এই সময়ে কোনও কাজের অফার এলে ভেবে দেখব। করলেও তা নিয়ম মেনেই করব।
প্র: আপনার দুই ছেলের মধ্যে একজনের (আর্যমান) ইন্ডাস্ট্রিতে আসা নিয়ে গত বছর বেশ চর্চা হয়েছিল। ওঁদের মধ্যে কেউ কি ফিল্মে আসবেন?
উ: দু’জনেই লন্ডনে পড়াশোনা করছে। সেটাই দরকারি এখন। জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিক্ষাটাই সবচেয়ে জরুরি। পরে ওরা অভিনয় করতে চাইলে, নিশ্চয়ই আমি সহযোগিতা করব। আমার বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই এসেছিলেন হিরো হবেন বলে। আউটসাইডার হয়েও নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। নবাগতদের ওঁর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে বলব।