Saif Ali Khan Attack case

সইফ-কাণ্ডে ধৃত শরিফুলের আদত বাড়ি বরিশালে! মুম্বই পুলিশের হাতে এল তাঁর সচিত্র পরিচয়পত্র

পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, বৃহস্পতিবারই মুম্বই পুলিশের তরফে দাবি করা হল, শরিফুল যে বাংলাদেশের নাগরিক সে সংক্রান্ত যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুলের সচিত্র পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে এসেছে তাদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪২
Share:

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত শরিফুল ইসলাম আদতে বরিশালের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত

সইফ আলি খানের উপর ছুরি হামলায় ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বান্দ্রা আদালতের বিচারক। কিন্তু, গত রবিবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শেরানি দাবি করেছিলেন, ধৃতের বাংলাদেশি হওয়ার প্রামাণ্য কোনও নথি মুম্বই পুলিশের হাতে নেই।

Advertisement

পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, বৃহস্পতিবারই মুম্বই পুলিশের তরফে দাবি করা হল, শরিফুল যে বাংলাদেশের নাগরিক সে সংক্রান্ত যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুলের সচিত্র পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে এসেছে তাদের। ২০১৯ সালে ইস্যু করা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে জানা গিয়েছে, ধৃত শরিফুল আদতে বাংলাদেশের বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা। জন্ম ১৯৯৪ সালের ১২ মার্চ। তাঁর বাবার নাম মহম্মদ রুহুল আমিন।

এই নথিই প্রকাশ্যে এনেছে মুম্বই পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার এক অভিজাত আবাসনে চুরির উদ্দেশ্যে হানা দেন, অভিযোগ এমনই। ঘটনাচক্রে তিনি ঢুকে পড়েন বলিউডের তারকা দম্পতি সইফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের বাড়িতে। সেখানে বাধা পেয়ে গৃহকর্তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার তিন দিন পর, গত রবিবার ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে।

Advertisement

সে দিনই পুলিশ জানিয়েছিল, শরিফুল প্রায় সাত মাস আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পার হয়ে এ দেশে আসেন। তার পর অসম ও পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে, একটি ভারতীয় মোবাইল সিম কিনে মুম্বই চলে আসেন রোজগারের তাগিদে। কিছু হোটেল, রেস্তোরাঁ বা পাবে সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। মুম্বই পুলিশ এর আগেই দাবি করেছিল, ভারতীয় নাগরিকত্ব বা এ দেশে বসবাস করার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি শরিফুল। তবে কোনও জঙ্গিযোগ শরিফুলের সঙ্গে নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। বরং দারিদ্র, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার সুরাহা করতেই এ দেশে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের পর থেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখনই চুরির সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি সেই উদ্দেশ্যেই বান্দ্রার অভিজাত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement