বলিউডে একের পর এক হিট গান গেয়েছেন মুকেশ। তবুও অর্থাভাবে প্রতি দিন বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে। ছবি: সংগৃহীত।
সব্জিওয়ালার কাছ থেকে টাকা ধার করে ছেলের স্কুলের মাইনে দিতেন মুকেশ। ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি’-র গায়কের লড়াইয়ের দিনগুলি অনেকেরই হয়তো অজানা। যা প্রকাশ্যে আনলেন পুত্র নিতিন মুকেশ।বলিউডে একের পর এক হিট গান গেয়েছেন মুকেশ। তবু অর্থাভাব এতই প্রকট ছিল যে, প্রতি দিন বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে গায়কের পরিবারকে। কাছ থেকে দেখেছিলেন ছোট্ট নিতিন। সম্প্রতি এক রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চে এসে অতীতচারণ করছিলেন ৭২ বছর বয়সি নেপথ্য গায়ক। বাবারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তিনি, তবু সে যুগ আর এ কালের মধ্যে অনেক তফাত! নিতিন বললেন, “আমি কখনও শুনিনি, আর কারও জীবনে এত ওঠাপড়া থাকে। আমার বাবা যা কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন কেউ ভাবতে পারবেন না। খাওয়া তো দূরে থাক, জল অবধি না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন মাঝেমাঝে। কিন্তু সেই মানুষই এক দিন ‘মুকেশজি’ বলে পরিচিতি পেলেন। ‘আওয়ারা হুঁ’, ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি’ গাওয়ার পর সবাই তাঁকে চিনল। কিন্তু তার পরও দীর্ঘ ৬-৭ বছর তাঁকে অর্থাভাবে কষ্ট পেতে হয়েছে। লড়াই করতে হয়েছে।”
নিতিন আরও জানান, এক সময় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পড়ানোর সামর্থ্যও ছিল না মুকেশের। তাঁর কথায়, “আমার আর বোনের স্কুলের মাইনে বাকি থেকে যেত। এখনও মনে পড়ে, বাড়ির কাছে এক সব্জিবিক্রেতা ছিলেন, তিনি বাবাকে খুব ভালবাসতেন। ওঁর কণ্ঠে গান শোনার জন্য ছটফট করতেন। তিনিই এক দিন টাকা ধার দিলেন বাবাকে। তাতে আমাদের স্কুলের বেতন মেটানো হয়েছিল। যদিও এই তথ্য বাবা কিংবা সেই সব্জিওয়ালা, দু’জনের কেউই আমাদের জানতে দেননি।”
কিন্তু ছেলেমেয়েদের সব বলতেন মা সরলা। তিনিই পরে জানিয়েছিলেন যে, মুকেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। নিতিনের দাবি, এই দিনগুলোর কথা কখনও ভুলবেন না তিনি। তাঁর বাবা যেমন দারিদ্রের মধ্যেও মাথা উঁচু করে ছিলেন, নিতিনও সেই ভাবেই থাকতে চান।