দেব-রুক্মিণীর ‘অভিমান’? নিজস্ব চিত্র।
ছবির গল্প থেকে ছবি হিটের ফর্মুলা— বলিউড-টলিউডের মধ্যে আদানপ্রদান চলতেই থাকে। এ বার কি বিতর্ক-পদ্ধতি অনুকরণের পালা? অন্তত তেমনই আভাস টলিউডে। অভিষেক বচ্চনের ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ ছবি মুক্তির আগে বচ্চন পরিবার দায়িত্ব নিয়ে অভিষেক-ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিচ্ছেদ রটিয়ে দিয়েছিল। এ বার চর্চা শুরু দেব আর রুক্মিণী মৈত্রের মান-অভিমান নিয়ে। সেই অভিমানেই নাকি সমাজমাধ্যমে নায়ককে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁর বাস্তব নায়িকা! এই জায়গা থেকেই টলিপাড়ার কেউ কেউ দাবি করছেন, দেব আর তাঁর ‘দেবী’র এই বিচ্ছেদও নাকি সুপরিকল্পিত।
আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে দেবের ছবি ‘খাদান’। তার আগে বিতর্কের আঁচে যদি সেঁকে নেওয়া যায় চারপাশ, ছবি হতে পারে ব্লকবাস্টার। বলিউডের মতো টলিউডেরও বিশ্বাস, ‘বিতর্কে বসতে লক্ষ্মী’! টলিপাড়ার এই ভাবনায় সমর্থন জানিয়েছেন জনৈক গায়িকা।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিয়ো থেকে। ‘খাদান’ ছবির প্রচারে বেরিয়েছিলেন দেব, ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত-সহ ছবির গোটা দল। সেখানেই আনন্দবাজার অনলাইনের ভিডিয়ো বিভাগ দেবের একলা ভিডিয়োবার্তা চায়। ছবির নায়ক রসিকতা করে ক্যামেরার সামনে জানান, তিনি ‘সিঙ্গল (একলাই)’! এই ভিডিয়োই নাকি দুই অভিনেতার মনোমালিন্যের কারণ। জানা গিয়েছে, এর পরেই আচমকা দেবকে ‘আনফলো’ করেন বড় পর্দার ‘বিনোদিনী’। অথচ ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দু’জনেই। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে রুক্মিণীর দেওয়া উত্তরীয় দেবের গলায় পৌঁছেছে! যেন নায়িকার যে কোনও জিনিসে অধিকার কেবল তাঁর বাস্তব জীবনের ‘নায়ক’-এর।
সত্যিকারের মান-অভিমান থাকলে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ার কথা উভয়েরই। কিন্তু সে দিন কোনও অস্বস্তি বা বিস্ময় তো ছিলই না, বরং দেব-রুক্মিণী হাসতে হাসতে ঘটনা উপভোগ করেন। ভাগ হওয়া ভাইরাল ভিডিয়ো তার সাক্ষী। এখানেই চোখ রেখেছে বাংলা বিনোদন দুনিয়া।
প্রশ্ন, সত্যিই যদি কিছু সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে রুক্মিণীকে অন্তত সে দিনের অনুষ্ঠানে ও ভাবে দেখা যেত না। যদিও পরে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে আসরে নামেন অভিনেত্রীর আপ্তসহায়ক এবং সমাজমাধ্যম দল। দাবি, দেবকে ‘আনফলো’ করার ঘটনাটি নাকি ভুলবশত ঘটে গিয়েছে!
এ সব দেখে নড়ে বসেছে নিন্দকেরাও। কটাক্ষ, “বচ্চন পরিবার কিন্তু বিচ্ছেদের চিত্রনাট্য লিখে নিখুঁত অভিনয় করেছে। যার জেরে দেশ তোলপাড়! এটাই যদি হুবহু অনুসরণ করা হত...!”