নীনা গুপ্ত ও মাসাবা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ানগরীর অন্যতম নামজাদা পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত। মা নীনা গুপ্ত বলিউডের অভিজ্ঞ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও অভিনয়কে প্রাথমিক ভাবে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেননি মাসবা। পোশাকশিল্পী হিসাবে স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের মেয়ে তিনি। যদিও ভিভ রিচার্ডস ও নীনার বিবাহবহির্ভূত সন্তান মাসাবা। সেই কারণে কম আলোচনা হয়নি তাঁকে ঘিরে। নিজের সাফল্যের জোরে সেই সব ফিসফিসানির ঊর্ধ্বে উঠেছেন মাসাবা। ভাঙতে চেয়েছেন তথাকথিত সামাজিক গোঁড়ামিও। তবে সেই রাস্তায় তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাসাবার মা নীনা গুপ্ত নিজেই। মাসাবা জানান, মায়ের কারণেই চাপে পড়ে বিয়ে করতে হয়েছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত টেকেনি মাসাবার সেই সম্পর্ক। এক সাক্ষাৎকারে মায়ের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন পোশাকশিল্পী ও অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে মাসাবা জানান, মা নীনার চাপে পড়েই তড়িঘড়ি পরিচালক মধু মন্তেনার সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন তিনি। মাসাবা বলেন, ‘‘আমি আমার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে আগে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মা তখন আমার লিভ ইনের সিদ্ধান্তে সায় দেননি। মা বলেছিলেন, ‘যদি তুমি এই সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত হও, তা হলে সোজা বিয়েই করে নাও’। এমনকি, মধুর সঙ্গে আমার আইনি বিয়ের পরে মা-ই আমার ব্যাগ গুছিয়ে দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য।’’ নীনা নিজে যথেষ্ট আধুনিকমনস্ক, তার পরেও কেন মেয়েকে লিভ ইনের জন্য অনুমতি দেননি তিনি? মাসাবা বলেন, ‘‘ওই সময়ে মা ভীষণ গোঁড়া ছিলেন। মা আসলে চাননি যে, উনি যে ভুলটা করেছিলেন, সেটা আমিও করি। মায়ের ধারণা ছিল, বিয়ে না করলে যে কোনও কোনও সম্পর্ক সহজে ভেঙে ফেলা যায়। বিয়ে করলে নাকি সেই সম্ভাবনা কম থাকে।’’
২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় মাসাবা ও মধুর। মেয়ের সম্পর্ক ভাঙার জন্য সেই সময় নিজেকেই দায়ী করেছিলেন নীনা। চলতি বছরে অবশ্য সেই দুঃখ ঘুচেছে ‘বাধাই হো’ খ্যাত অভিনেত্রীর। অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন মাসাবা। অন্য দিকে, লেখিকা ও যোগ প্রশিক্ষক ইরা ত্রিবেদীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন মধুও।