ইমেলে হুমকি পেলেন নিহত গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার বাবা
ইমেলে হুমকি পেলেন নিহত গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার বাবা বলকাউর সিংহ। অভিযোগ পেয়ে বুধবার মহীপাল নামে রাজস্থানের জোধপুরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাবের মানসা থানার পুলিশ। দিল্লির বাহাদুরগড় এলাকায় তার হদিস পাওয়া যায়।
সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। মানসা থানার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট গৌরব তুরা বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তের সময় জানা গিয়েছে, এ জে বিষ্ণোই নাম নিয়ে মহীপাল একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। এই নামে নেটমাধ্যমে তার প্রোফাইল রয়েছে। সিধুর বাবাকে ইমেল পাঠিয়ে সে আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে চেয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। অনুসরণকারীর সংখ্যাও বাড়াতে চেয়েছিল।”
মঙ্গলবার মহীপালের নামে তোলাবাজি এবং হুমকির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। বলকাউরের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল, না হলে প্রাণনাশের হুমকি ছিল ওই ইমেলে। থানায় গিয়ে ইমেল আইডি জমা দেন সিধুর বাবা। যেখানে হিন্দিতে লেখা ছিল, লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার-এর বিরুদ্ধে স্বর তুললে বলকাউর-সহ পরিবারের অনেকের প্রাণসংশয় হতে পারে।
আরও বলা ছিল, জাগরুপ রূপা এবং মনপ্রীত মন্নুও মহীপালের হাতেই খুন হয়েছিল। বেশি প্রতিবাদ করলে বলকাউরেরও একই পরিণতি হবে।
কিছু দিন আগেই মুসে ওয়ালাকে শ্রদ্ধা জানাতে মানসা শহরে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে সিধুর বাবা বলকাউর সিংহ বলেছেন, “সিধুর মৃত্যুর পরে আমি জানতে পেরেছি... সে শুধু আমার ছেলে নয়, প্রতিটি পরিবারের ছেলে।”
তিনি আরও জানান, গোটা দেশ তাঁর ছেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সবার চোখে জল দেখেছেন। সব শেষে ছলছল চোখে বলকাউর বলেন, “সিধুর বাবা হতে পেরে আমি গর্বিত।”
গত ২৯ মে, পঞ্জাবের মানসা জেলায় গায়ক, রাজনীতিবিদ মুসে ওয়ালাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঠিক তার আগের দিন পঞ্জাবে ৪২৪ জনের নিরাপত্তা তুলে নেয় সরকার। তার পরেই এই ঘটনা। প্রসঙ্গত, মুসে ওয়ালা গত বছর ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসে যোগ দেন।
মানসা জেলার পুলিশ এ ব্যাপারে চার্জশিটে মোট ৩৪ জনের নাম দেয়। তার মধ্যে আট জন এখনও অধরা। মানসা পুলিশের এসএসপি গৌরব তুরা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্ত চার জন বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। আট জনকে এখনও গ্রেফতার করা বাকি।’’