ফারজানা আরশির সঙ্গে মঈনুল এহসান নোবেল। ছবি: ফেসবুক।
সাত দিন আগেই আচমকাই চতুর্থ বিয়ের খবর দেন ‘সারেগামাপা’-খ্যাত গায়ক মঈনুল এহসান নোবেল। চলতি বছরেই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর। তার পর পরই ফের বিয়ে করে চতুর্থ স্ত্রী ফারজানা আরশির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি সমাজমাধ্যমে দেন নোবেল। তবে সেই বিয়ে এক সপ্তাহও পার করতে পারল না। নিজের বাড়ি খুলনায় ফিরে গেলেন গায়কের চতুর্থ স্ত্রী। অন্য দিকে, নোবেল গেলেন মাদকাসক্ত পুনর্বাসনকেন্দ্রে।
তৃতীয় বিয়ে যখন ভাঙে নোবেলের, তখন তাঁর স্ত্রী যে যে অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল নোবেলের মাত্রারিক্ত মাদকসেবন। কিছু দিন আগেই কুড়িগ্রামে একটি কনসার্টে গিয়ে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন নোবেল। সেখানে জড়ানো কণ্ঠে গান গাইতে শুরু করলে দর্শকরা জলের বোতল ছুড়ে মারেন তাঁকে। তার পরই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তার পর নোবেল দাবি করেন, তিনি বিয়ে করেছেন ফারজানা আরশিকে। কিন্তু বিয়ের পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং দিন দিন আরও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছিলেন নোবেল। সেই কারণেই তাঁর পরিবারের তরফে ঢাকার কাছাকাছি একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
অন্য দিকে, গায়কের চতুর্থ স্ত্রী ফারজানা ঢাকা ছেড়ে নিজের বাড়ি খুলনায় ফিরে গিয়েছেন। খুলনায় ফিরে গিয়ে আরশি ফেসবুকে লেখেন, ‘‘আমি আমার বাড়ি খুলনাতে আছি। না জেনে উল্টোপালটা খবর ছড়াবেন না প্লিজ। আজকে যদি আমি নাদিমের সঙ্গে সব কিছু শেষ করে যেতাম, তা হলে কেউ কিছুই জানতে পারত না? আমি কি এতটাই বোকা? আমি জানি না যে, নোবেল এই ছবি পোস্ট করলে কতটা ঝামেলা হবে? বিশ্বাস করুন এ সবে আমার হাত ছিল না।’’
নোবেলের চতুর্থ বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল বলেছিলেন ‘‘খুলনার এক জন ফুড ব্লগার নাদিম আহমেদের সঙ্গে সাত বছরের প্রেম ছিল তাঁর স্ত্রী আরশির। ২০২১ সালের শুরুতে বিয়ে করেন তাঁরা। দুই বছরের সংসার তাঁদের। সে সব বাদ দিয়ে নোবেলের কাছে চলে এসেছে মেয়েটি।’’ সালসাবিল সেই সময় সন্দেহ প্রকাশ করে জানান, তাঁর সঙ্গে নাদিম আহমেদের কথাও হয়েছে। তিনি স্ত্রীকে ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা চান। সালসাবিল সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আরশি ডিভোর্স দিয়েছে কি না এ রকম কোনও তথ্য নেই। নোবেল মেয়েটিকে জোর করে তুলেও নিয়ে আসতে পারে। তবে এই সম্পর্ক কত দিন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।’’