(বাঁ দিক থেকে) ঋত্বিক চক্রবর্তী, মৈনাক ভৌমিক, শোলাঙ্কি রায়। ছবি: ফেসবুক।
মৈনাক ভৌমিক সম্পর্ক সরিয়ে রহস্য- রোমাঞ্চের দুনিয়ায়! তাঁর আগামী ছবি ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’র ঘোষণা হতেই টলিউডের অন্দরে কানাঘুষো। কেন পরিচালককে ঘিরে এমন চর্চা? ছবিতে সাংবাদিক ঋত্বিক চক্রবর্তী মাদককাণ্ডে জড়িয়ে পড়বেন। তাঁর বিপরীতে শোলাঙ্কি রায়। রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরাতে ছবিতে থাকবেন সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, লোকনাথ দে, দেবপ্রিয়-সহ একঝাঁক অভিনেতা। এমনই টান টান থ্রিলারের শুটিং ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার চৌধুরী ভিলায়।
কেমন চলছে শুটিং? বৃষ্টি বাদ সাধল কতটা? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে প্রশ্ন রেখেছিল পরিচালকের কাছে। মৈনাকের কথায়, “বৃষ্টির দুষ্টুমি থাকবেই। যে কয়েক দিন শুটিং হয়েছে, সে ক’দিনই ঘণ্টা দুয়েক শুটিং বন্ধ থেকেছে। বৃষ্টি কমলে শুটিং, ক্যামেরা চলেছে আবার।” প্রথম দিনের শুটিং ছিল দক্ষিণ কলকাতার অলিতে গলিতে। পরিচালক জানিয়েছেন, টালিগঞ্জ এলাকার নানা রাস্তায় শুটিং করেছেন লোকনাথ, সুজন নীল, দেবপ্রিয় প্রমুখ। পরের দিন তাঁর ক্যামেরার মুখোমুখি ঋত্বিক-শোলাঙ্কি। নায়ক এর আগেও মৈনাকের একাধিক ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। পরিচালকের কথায়, “অনেক দিন পর আবার ঋত্বিকের সঙ্গে কাজ। ভাল লাগছে।” একই সঙ্গে ভাল লাগছে তাঁর বিপরীতে শোলাঙ্কিকে। মৈনাকের মতে, “নতুন জুটি নিয়ে কাজের মজাই আলাদা।”
সম্পর্কের সূত্র ধরে রহস্যের হাতছানি। বিষয়টি অন্য রকম। সেই অনুযায়ী প্রত্যেক চরিত্রের সাজসজ্জাতেও বৈচিত্র আনার চেষ্টা। মৈনাক জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ভিন্ন স্বাদের এই ছবির ক্যামেরার কাজও তাই যথেষ্ট জটিল। যার জেরে আয়েশ করে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার অবসরটুকুও নাকি পাচ্ছেন না তিনি! তবে নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে এখনও আউটডোর শুটিং শুরু করেননি। কলকাতার এক সত্যি ঘটনা অবলম্বনেই ছবি। বরাবরের মতো এ বারেও শহর তাই তাঁর শহর জুড়ে। চলতি মাসের সাত তারিখে শুটিং শেষ করার ইচ্ছে পরিচালকের। মুক্তি সম্ভবত আগামী বছরে।
মাদককাণ্ডের পাশাপাশি ছবিতে বাংলা ছবির দুনিয়ার ভালমন্দও জায়গা করে নেবে। যা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। স্বস্তিকা দত্তের মাধ্যমে মৈনাক এই দিকটি দেখাতে চলেছেন। চর্চিত বিষয় বলেই কি টলিউড জায়গা করে নিচ্ছে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’তে? স্বস্তিকা কোন দিকটি দেখাবেন, ভাল না মন্দ? ফোনেই আর একপ্রস্ত রহস্য ছড়ালেন পরিচালক। পাল্টা প্রশ্ন তাঁর, সব বলে দিলে দর্শক কি আর প্রেক্ষাগৃহে যাবেন? বললেন, “এর আগেও আমার ছবিতে ইন্ডাস্ট্রি জায়গা করে নিয়েছে। উদাহরণ ‘চলচ্চিত্র সার্কাস’। চিত্রনাট্যের খাতিরেই বিষয়টি পর্দায় দেখানো হবে। টলিউড আদতে কতটা ভাল, কতটা মন্দ— বিচারের ভার দর্শকের উপরে।”