নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত ও যিশু সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৬ জুলাই শেষ নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবির সঙ্গেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। জীবনে অবলম্বন বলতে দুই মেয়ে সারা সেনগুপ্ত, জ়ারা সেনগুপ্ত ও বোন চন্দনা। নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর এই পোস্ট দেখে মন ভেঙেছিল বহু অনুরাগীর। বরাবরই তাঁর ও যিশুর জুটি পছন্দ ছিল দর্শকের। কিন্তু সেই সুখের সংসারে নাকি প্রবেশ হয়েছে তৃতীয় ব্যক্তির। তা থেকেই দূরত্ব।
গত দু’মাস ধরে নীলাঞ্জনার সমাজমাধ্যম জুড়ে ছিল দুই মেয়েকে নিয়ে পোস্ট। কখনও বড় মেয়ে সারার ফ্যাশন শোয়ের মুহূর্ত, কখনও বা জ়ারার শৈশবের ছবি। কখনও বোন চন্দনার জন্মদিনের মুহূর্ত, কখনও বা মা অঞ্জনা ভৌমিকের স্মৃতিচারণ। কিন্তু নিজের কোনও ছবি পোস্ট করেননি নীলাঞ্জনা। অবশেষে ‘শক্তিশালী, সুন্দরী ও দায়িত্বশীল’ রূপে ধরা দিলেন তিনি।
পরনে স্লিটেড ড্রেস ও লাল জ্যাকেট। গলায় ও কানে মানানসই গয়না। সচরাচর এই বেশে দেখা যায় না নীলাঞ্জনাকে। এ যেন এক অন্য অবতার! একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “শক্তিশালী, সুন্দরী ও দায়িত্বশীল। মাধুর্য ও শক্তির সঙ্গে পৃথিবীর ভার সে বহন করতে পারে।” নিজের উদ্দেশেই কি কথাগুলি লিখেছেন নীলাঞ্জনা? প্রশ্ন নেটাগরিকদের।
এই ছবির নীচে মন্তব্যে করেছেন সারা। মায়ের সৌন্দর্যের প্রশংসায় তিনি লিখেছেন, “হে ঈশ্বর! তোমাকে কী ভাল দেখতে লাগছে!” মিমি চক্রবর্তী ও পার্ণো মিত্রও নীলাঞ্জনার ছবিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
জুলাই মাসে একটি পোস্ট করে বৈবাহিক জীবনে দূরত্বের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। মুছে দিয়েছিলেন যিশুর সঙ্গে সমস্ত ছবি। ত্যাগ করেছিলেন ‘সেনগুপ্ত’ পদবি। অবশেষে সেই কঠিন সময় অতিক্রম করে নিজেকে প্রকাশ করছেন নীলাঞ্জনা। মনে করছেন নেটাগরিকেরা।