পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানে অভিনেত্রী হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে মাহিরা খানের। বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রইস’ ছবির মাধ্যমে। বলিপাড়ায় মাহিরার পরিচিতি বৃদ্ধি পায়, খুব তাড়াতাড়ি বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ঋষি কপূরের পুত্র রণবীর কপূরের সঙ্গে মাহিরা সম্পর্কে ছিলেন বলে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। দু’জনের ধূমপান করার ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ইউরোপে রণবীরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন মাহিরা। সেই মুহূর্ত বন্দি করে ফেলেন ছবিশিকারিরা।
২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘রইস’। তবে প্রচারের কাজে ভারতের মাটিতে পা রাখা হয়নি তাঁর। ২০১৬ সালে উরি অভিযানের পর পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজ করার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার পর থেকেই একটু একটু করে অবসাদে ডুবতে থাকেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ওষুধে কাজ হচ্ছিল না। গত বছর গোটাটাই হাসপাতালে কাটিয়েছেন মাহিরা। জানা যায় বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত তিনি।
‘রইস’-এর ব্যর্থতা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি মাহিরা। তার পর থেকেই অসুস্থতার শুরু। প্রায় ৬ বছর পর নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘‘রইস’-এর পর আমার জায়গা হল মনোবিদের চেম্বারে। খুব অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলাম। দীর্ঘ ছয়-সাত বছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়ছি।’’
গত বছর নাকি বেশ বাড়াবাড়ি হয় মাহিরার। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘দিনের পর দিন বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। স্নানঘরে যাওয়ার মতো ক্ষমতাটুকু ছিল না। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শুধু আল্লাকে ডাকতাম। আমার জীবনে একটু আশার আলো দেখাও। তা হলেই আবার উঠে দাঁড়াব। তার পর ওষুধ খাওয়া শুরু করতেই, আগের থেকে অনেক হালকা অনুভব করছি।’’
অবসাদ নিয়ে চারপাশে বিস্তর ভুল ধারণা রয়েছে। সেটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই জানান অভিনেত্রী। তিনি তাঁর কঠিন সময় পাশে পেয়েছেন পরিবার ও তাঁর চিকিৎসককে। খুব শীঘ্রই জীবনের নতুন পর্ব শুরু করতে চলেছেন অভিনেত্রী। সেপ্টেম্বর মাসে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক সালিম করিনের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চলেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল কিছু দিন আগে। পরে অবশ্য নায়িকা সে কথা নেহাতই গুজব বলে নাকচ করে দেন।