সমিধের বাংলা ডার্ক রক গানের মেন্টর মহেশ। সংগৃহীত চিত্র।
তাঁর ছবিতে গান আলাদা মাত্রা পায়। ছবির পাশাপাশি তার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। বলিউডের প্রথম সারির সেই প্রযোজক-পরিচালক মহেশ ভট্ট এ বার বাংলা গানের ‘মেন্টর’। আনন্দবাজার অনলাইনকে এ খবর জানালেন সমিধ মুখোপাধ্যায়। শনিবার মহেশের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি চর্চায়। এর পরেই সুরকার-গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সমিধের কথায়, ‘‘আমি আর উর্বী চট্টোপাধ্যায় বাংলায় এই প্রথম ‘ডার্ক রক সং’ আনছি। প্রেম-অপ্রেম ঘিরে মিউজ়িক ভিডিয়োটি তৈরি হবে। নাম ‘জংলি গোলাপ’। তাতে বিশুদ্ধ বাংলা রক গানের ছোঁয়া। মহেশজিকে শোনাতেই তিনি উচ্ছ্বসিত। জানিয়েছেন, ব্যথার গন্ধে ম-ম করছে গান।’’
মহেশ-সমিধ-উর্বী ত্রয়ী এর আগে ‘সড়ক ২’-এ কাজ করেছেন। ফলে, বাংলার এই সফল জুটির সঙ্গে তিনি পূর্বপরিচিত। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই তাঁরা গান নিয়ে, নতুন ভাবনা নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন মহেশের কাছে। উর্বীর বক্তব্য, ‘‘মহেশ চুপচাপ চোখ বন্ধ করে আমাদের গান শুনেছেন। তার পর জড়িয়ে ধরেছেন। গানের বিষয়বস্তু ওঁকে ছুঁয়ে গিয়েছে। সমিধ এবং আমায় বলেছেন, ‘তোমরা আরও পরিণত হয়েছ, তোমাদের ভাবনা আরও ঋদ্ধ হয়েছে।’’’ একটু অন্য ধাঁচের এই মিউজ়িক ভিডিয়োয় থাকছেন বাংলার বেশ কিছু জনপ্রিয় গায়ক। তালিকায় গাবু, বোধিসত্ত্ব এবং আরও অনেকে। কিছুটা বাংলায়, কিছুটা বলিউডে তৈরি হবে এই গান।
সমিধ-উর্বীর গানে জড়িয়ে থাকা কোন ভাবনা মহেশকে ছুঁয়ে গিয়েছে? জুটির জবাব, ‘‘গানের পটভূমিকায় এক যুগলের গল্প। তাঁরা একসঙ্গে অনেকটা পথ চলার পর ভালবাসাকে হারিয়ে ফেলেছেন। সেই খোঁজ, ভালবাসার অভাবে তাঁদের ছটফটানিই গানের বিষয়। মহেশজির ছবিতে সব সময় সম্পর্কের নানা স্তর জায়গা করে নেয়। সেই জায়গা থেকেই তাঁর এত ভাল লাগা।’’ ঊর্বির দাবি, প্রবীণ প্রযোজক-পরিচালক একজন সঙ্গীতবোদ্ধার থেকেও দ্রুত গানের সঙ্গে যোগস্থাপন করতে পারেন। যেমন, এই গানের সঙ্গে তিনি বাংলার একটি বিখ্যাত পুরনো গানের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন। মিউজ়িক ভিডিয়োয় যে যুগলের কথা বলা হবে, তাঁদের পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন সমিধ-উর্বী। সমিধের কাছ থেকে খবর জেনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলা রক গানের দুনিয়াতেও। কোনও ভাবে রূপম ইসলাম কি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন? জুটি জানিয়েছেন, এখনও তাঁরা ভেবে দেখেননি। চলতি মাসের শেষে কলকাতায় ফিরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
চমক আরও। মহেশের নির্দেশে ইতিমধ্যেই গান নিয়ে নতুন করে ঘষামাজা করছেন সমিধ-উর্বী। তিনি যা যা বদলাতে বলেছেন, বদলে দিচ্ছেন তাঁরা। নতুন ভাবে তৈরি গান পছন্দ হলে ক্যামেরাবন্দি হবে অভিনয়ের অংশ। সেটাও নিজ দায়িত্বে দেখাশোনা করবেন মহেশ।