১৯৮৮ সাল। প্রেক্ষাগৃহে টানা হাউসফুল ‘তেজাব’। লোকের মুখে মুখে ফিরছে ‘এক দো তিন’। গোটা দেশ দুলছে নাচের তালে। সে খবর পৌঁছল নায়িকা মাধুরী দীক্ষিতের কাছে। তাঁর ছবির গান নিয়ে দর্শকের এ হেন উন্মাদনার গল্প শুনে এক দিন সটান প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছে গেলেন নায়িকা স্বয়ং।
আজও মাধুরী মানেই 'এক দো তিন'
তিন দশক পেরিয়েও তিনি ‘এক দো তিন’ গার্ল। তাঁর কোমরের দোলা, তাঁর লাস্যে ভরা নাচ, তাঁর রূপের ছটা আর হাজার ওয়াটের হাসি— এই মধ্যবয়সেও তাঁকে দেখে আট থেকে আশির ‘দিল ধক ধক’। জানেন কি, নিজের সুপারহিট ছবি ‘তেজাব’ দেখতে প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছে গিয়েছিলেন খোদ মাধুরী দীক্ষিত?
১৯৮৮ সাল। প্রেক্ষাগৃহে টানা হাউসফুল ‘তেজাব’। লোকের মুখে মুখে ফিরছে ‘এক দো তিন’। গোটা দেশ দুলছে নাচের তালে। সে খবর পৌঁছল নায়িকা মাধুরীর কাছে। তাঁর ছবির গান নিয়ে দর্শকের উন্মাদনার গল্প শুনে এক দিন প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছে গেলেন নায়িকা স্বয়ং। উদ্দেশ্য, পর্দায় কেমন লাগছে ‘এক দো তিন’, দর্শক কী ভাবে উপভোগ করছেন— সবটা স্বচক্ষে দেখে আসা। অতএব বোরখায় আপাদমস্তক ঢেকে ‘মোহিনী’ হাজির দর্শকাসনে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক টিভি শো-তে সেই অভিজ্ঞতারই ঝুলি খুলেছিলেন বলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী। সঞ্চালককে তিনি বলেন, “সিঙ্গল স্ক্রিন হল চন্দন থিয়েটারের একেবারে সামনের সারিতে বসেছিলাম আমরা কয়েক জন। ছবি শুরু হল। পর্দায় ‘এক দো তিন’ আসতেই গোটা হল যেন পাগল হয়ে গেল! হাততালি, সিটি তো বটেই, পর্দার দিকে মুঠো মুঠো পয়সা ছুড়ছিলেন দর্শকেরা। আর সে সব সোজা এসে পড়ছিল আমাদের মাথার উপরে!”
১৯৮৮ সালে বক্স অফিসে তোলপাড় ফেলেছিল অনিল কপূর-মাধুরী দীক্ষিতের ‘তেজাব’। ৫০ সপ্তাহ একটানা চলার রেকর্ড গড়ে ফেলা ছবিটির হাত ধরে কেরিয়ারের শুরুর দিকেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান রূপসী নায়িকা। আর আকাশ ছোঁয় ছবির গান ‘এক দো তিন’-এর জনপ্রিয়তা।