বয়সে তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট। সেই কম বয়সী মেয়ের সঙ্গে শুধু প্রেম-ডেটিং নয়, বিয়েই সেরে ফেলেছেন মিলিন্দ সোমান। যা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু তাতে জুটির থোরাই কেয়ার।
মিলিন্দ ও তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ারের ছবি দেখে নেটিজেনরা বয়সের ফারাক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু প্রেমের সঙ্গে বয়সের সম্পর্ক নেই। কী ভাবে পরস্পরের কাছে এসেছিলেন দু’জনে? সম্প্রতি সেটাই শেয়ার করেছেন অঙ্কিতা।
‘আমি জানতেই চাই না, তোমাকে ছাড়া জীবন কেমন। তুমি-হীন পৃথিবীটাকে চিনতেই চাই না...’— এমন কথা আগেও বলেছিলেন অঙ্কিতা। আসলে বন্ধুরাই প্রথম অঙ্কিতাকে বলেছিলেন, মিলিন্দের সঙ্গে কথা বলতে।
৫২ বছর বয়সী মিলিন্দের স্ত্রী অঙ্কিতার বয়স মাত্র ২৩ বছর! সংবাদ মাধ্যমে যদিও তাঁর বয়স নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন ১৮, কেউ বলেন ২৬। পাঁচ বছর ডেট করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দু’জনে।
মালয়েশিয়ায় কেবিন ক্রু হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। আচমকাই মারা যান অঙ্কিতার সেই সময়ের প্রেমিক। রীতিমতো অবসাদে চলে গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। ওই অবস্থা থেকে কখনও বেরিয়ে আসতে পারবেন, তা ভাবেনইনি অঙ্কিতা। বিয়ে তো দূরের কথা।
অঙ্কিতার চেন্নাইয়ে পোস্টিং হয় তাঁর কিছু দিন পর। একদিন হোটেলের লবিতে মিলিন্দকে দেখতে পান তিনি। ‘হ্যালো’ বলার পর আর কথা হয়নি।
আরেক দিন নাইট ক্লাবে যাচ্ছিলেন বন্ধুরা মিলে। পরস্পরের দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরাননি তাঁরা দু’জনে অনেকক্ষণ, বলেন অঙ্কিতা।
বন্ধুরাই অঙ্কিতাকে বলেন, মিলিন্দের সঙ্গে কথা বলতে।
এর পর মিলিন্দের কাছে গিয়ে প্রথমেই অঙ্কিতা বলেন, তাঁর সঙ্গে মিলিন্দ নাচতে রাজি কি না। মিলিন্দ রাজি হন।
অঙ্কিতা ভেবেছিলেন, প্রাথমিক আলাপ, বন্ধুত্ব। ব্যস। পরে জানতে পারেন, মিলিন্দ তাঁর নম্বর খুঁজছেন।
নিজের কাছে সেই মুহূর্তে ফোন না থাকায় বন্ধুকে মিলিন্দের নম্বর নিতে বলেন অঙ্কিতা। মিলিন্দ বলেন, তাঁকে টেক্সট করতে।
বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও মিলিন্দকে ভুলতে পারছিলেন না অঙ্কিতা। আস্তে আস্তে অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন তিনি। কিন্তু পুরোপুরি ভুলে যাওয়া তো সম্ভব নয়।
অঙ্কিতাকে মিলিন্দ বলেন, তিনিও ভালবেসে ফেলেছেন অঙ্কিতাকে। অতীত, বর্তমান সবটা মিলেই তিনি ভালবেসে ফেলেছেন অঙ্কিতাকে।
অঙ্কিতাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন মিলিন্দই তাঁর জীবন সঙ্গী হতে চলেছেন। অঙ্কিতার সঙ্গে ভাল আছেন, এমনটা জানিয়েছেন মিলিন্দও।
এটি মিলিন্দ সোমানের দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ফরাসি অভিনেত্রী মেলিন জাম্পানোই-এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তিন বছর পর, ২০০৯ সালে তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়। অঙ্কিতার সঙ্গে আলাপের পর তিনি নিজকে পরিপূর্ণ মনে করেন, জানান মিলিন্দ।
মিলিন্দ এবং অঙ্কিতা দু’জনেই দৌড়তে পছন্দ করেন। বিয়ের পরের দিনই খালি পায়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়েছিলেন এই জুটি। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মিলিন্দ লেখেন, ‘আমার স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রথম বার ১০ কিলোমিটার দৌড়লাম।’ আজীবন চলার পথেও এ ভাবেই এক সঙ্গে থাকতে চান, জানিয়েছেন দু’জনেই।