বাংলার শিল্পীদের কুর্নিশ জানালেন কুমার শানু। ছবি: ফেসবুক।
টলিউডের পাশাপাশি আরজি কর-কাণ্ডে ফুঁসছে বলিউডও। গত বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখল করতে পথে নেমে সদ্য মুম্বই থেকে আগত অভিনেতা সোহম মজুমদার আনন্দবাজার অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার একই কথা জানালেন কুমার শানুও। অনুষ্ঠানের কারণে গায়ক এই মুহূর্তে আমেরিকায়। তাই সরাসরি কথা বলতে পারেননি তিনি। তাঁর হয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিল্পীর আপ্ত সহায়ক দিলীপ দে। দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে গায়কের ছায়াসঙ্গী তিনি। তাঁর কথায়, “বাংলার এই আন্দোলন শানুদাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। তিনি নিজে নানা কারণে পথে নামতে পারছেন না। কিন্তু বাংলার বাকি শিল্পী-অভিনেতাদের প্রতিবাদী রূপ দেখে তিনি গর্বিত।”
দিলীপ আরও জানিয়েছেন, মার্কিন মুলুকের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে রোজই বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন শিল্পী। সেই জায়গা থেকে শিল্পীসত্তার পাশাপাশি বাবা হিসাবেও তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমিও দুই মেয়ের বাবা। শুধুই কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল নয়, সারা দেশে এই মুহূর্তে মেয়েরা যে ভাবে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন তা দেখে ভয় করছে।” গায়কের মতে, এই প্রতিবাদের খুবই প্রয়োজন। কারণ, এটাই উপযুক্ত সময়। এখনই ন্যায় ছিনিয়ে আনতে হবে। না হলে ফের অন্য কারও মেয়ে একই ভাবে নিগৃহীত হবেন। একই সঙ্গে আপ্ত সহায়কের কাছে গায়কের আফসোস, নানা অনুষ্ঠানের কারণে বেশির ভাগ সময় তাঁকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ফলে, চাইলেও তিনি নিজের শহর কলকাতায় পৌঁছতে পারছেন না। সেখানে বাকি খ্যাতনামীদের সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাতে পারছেন না। কিন্তু মন থেকে তিনি প্রত্যেকের পাশে।
আন্দোলনে শামিল হওয়ার কারণে প্রতিবাদী শিল্পীরা নানা ভাবে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। সে বিষয়ে কী মত কুমার শানুর?
আপ্ত সহায়কের মাধ্যমে তাঁর বার্তা, সব কিছুই তাঁর চোখে পড়ছে। প্রতিবাদ ছাপিয়ে এক এক সময় প্রতিবাদীদের সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কখনও তাঁরা পথে নেমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করতে পারছেন না শিল্পী। বিশেষ করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অঘটনের কথা জেনে যথেষ্ট মনখারাপ তাঁর। তবে এটা ভেবে শিল্পীর ভাল লাগছে, কটাক্ষের শিকার হওয়ার পরেও বিনোদন দুনিয়ার ব্যক্তিত্বেরা নিজেদের কথা না ভেবে পথে নামছেন। প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন। তাঁর মতে, এটা যথেষ্ট ইতিবাচক দিক।