(বাঁ দিকে) সুনীতা আহুজা এবং গোবিন্দ। ক্রুষ্ণা অভিষেক। ছবি: সংগৃহীত।
মামা-ভাগ্নে বিবাদ মিটল অবশেষে। বলিউডের অন্দরে গোবিন্দ ও তাঁর ভাগ্নে কৃষ্ণ অভিষেকের মতান্তর বহু বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রে। গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা ও কৃষ্ণ একাধিকবার বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন প্রকাশ্যে। দু’জনেই একে অপরকে পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট করার কারিগর হিসাবে দাগিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে নানা নেতিবাচক তকমা দিয়েছেন পরস্পরকে। তবে মামির সঙ্গে লাঠালাঠি হলেও গোবিন্দকে কখনও কৃষ্ণকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
চলতি বছরে আরতি সিংহের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল দুই পরিবার। তখন অনুমান করা হয়েছিল, পারিবারিক সমস্যা না মিটলেও কর্তব্যে ত্রুটি রাখে না তারকা পরিবার। তবে শুধুই যে কর্তব্যে আটকে নেই, অন্তরের মিল হতে চলেছে দুই পরিবারের, তা কার্যত স্পষ্ট। সম্প্রতি কলকাতা আসার পূর্বে নিজের বন্দুকের গুলিতে অসাবধানতাবশত আহত হন গোবিন্দ। হাসপাতালে অভিনেতাকে দেখতে যান, কৃষ্ণ-পত্নী কাশ্মীরা শাহ। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ছবিশিকারিদের ভিড় দেখে মেজাজও হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
কর্মসূত্রে সেই সময় অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিতে হয় কৃষ্ণকে। প্রাথমিক ভাবে ভেবেছিলেন যাওয়া বাতিল করবেন। কিন্তু কাশ্মীরার থেকে খবর পান, মামা গোবিন্দ বিপন্মুক্ত। তাই অস্ট্রেলিয়ায় কাজ সেরে দেশে ফিরে মামাকে দেখতে যান। মামার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম সারেন। প্রায় সাত বছরের ব্যবধান নিমেষে উধাও। গোবিন্দ-কন্যা টিনা আহুজাকেও জড়িয়ে ধরেন। ভাই-বোনের গল্প যেন ফুরোতে চায় না। তবে দু’জনের কেউই অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেননি। কৃষ্ণ জানালেন, যেন সাত বছরের বনবাস কাটিয়ে ফিরলেন। যদিও মামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি এ যাত্রায়। তাঁর মতে, মামি যদি ব্যস্ত থাকেন। ভয় ছিল, মামি যদি বকাবকি করেন কৃষ্ণকে!