কৃতি বলেন, প্রেমট্রেম কিছু নয়, ‘ভেড়িয়া’ একটু বেশিই হিংস্র হয়ে যায় রিয়্যালিটি শো-তে। ছবি: সংগৃহীত।
এ কী বলে বসলেন বরুণ ধওয়ান? কৃতি শ্যানন আর প্রভাস দু’জনেই তাজ্জব। তবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন কৃতি। জানালেন, বরুণের মাথাখারাপ হয়ে গিয়েছিল, ‘ভেড়িয়া’ হঠাৎ আর একটু হিংস্র হয়ে গেলে যা হয়! বিষয়টা মোটেও ভাল ভাবে নেননি নায়িকা।
গোলমালটা হয় এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে, যখন বরুণ অনায়াসে সিলমোহর দিয়ে দেন কৃতি আর প্রভাসের সম্পর্কে। বলিউডে এই মুহূর্তে যত নায়িকা ‘সিঙ্গল’ (সঙ্গী খুঁজছেন বা খুঁজছেন না, কিন্তু একা) আছেন, তাঁদের তালিকা উল্লেখ করতে গিয়ে বরুণ বলেন, “কৃতির নাম এই কারণে নিলাম না, কারণ ওর নাম অন্য কারও হৃদয়ে লেখা আছে।” এর পরই শোরগোল। সবাই বুঝে যান বরুণের ইঙ্গিত।
‘আদিপুরুষ’ ছবিতে রাম আর সীতা হয়েছেন প্রভাস-কৃতি। সেই থেকেই তাঁদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন তুঙ্গে। মায়ানগরীর বাতাসে ভাসছিল খবর, খুব শীঘ্রই নাকি বাগ্দান পর্ব সারতে চলেছেন কৃতি-প্রভাস। তবে বরুণের মন্তব্যের পর সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন, খবর তা হলে সত্যিই। বরুণকে আরও বলতে শোনা যায়, “সেই ব্যক্তির হৃদয়ে কৃতির নাম রয়েছে, যিনি মুম্বইবাসী নন। এখন দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে কাজ করছেন অন্য শহরে।” সে সময়ে দীপিকার সঙ্গে প্রভাস ‘প্রজেক্ট কে’-র শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
এই কথা শুনে কৃতি তড়িঘড়ি পুরো ব্যাপারটি প্রভাসকে জানান। সংবাদ সংস্থাকে কৃতি বলেন, “আমার খুব খারাপ লেগেছিল। প্রভাসকে বলতে সে-ও প্রচণ্ড অবাক! আমায় জিজ্ঞাসা করল, “ও কেন এগুলো বলছে?” আমি বললাম, “আমি কী জানি! মাথাখারাপ হয়ে গিয়েছে ওর...।”
কৃতি এর পর নিজেই এক বিবৃতি দেন। বলেন, “প্রেমটেম কিছু নয়। আমাদের ‘ভেড়িয়া’ একটু বেশিই হিংস্র হয়ে যায় রিয়্যালিটি শো-তে। মজা করতে গিয়ে নেকড়ের মতো গর্জন করে ফেলেছে। পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই।”