শ্যামা এবং নিখিল।
টেলিপাড়ায় দুটো খবর শোনা যাচ্ছে। এক, ২০১৬ পর্বে পা দিয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। দুই, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘নিখিল’ ওরফে নীল ভট্টাচার্যকে আগামী ধারাবাহিক ‘উমা’-য় মুখ্য অভিনেত্রীর বিপরীতে দেখা যেতে পারে। এর থেকেই গুঞ্জন, তা হলে কি ধারাবাহিকের তিন বছরের পথ চলা শেষ হতে চলেছে? চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ‘কৃষ্ণকলি’-তে নয়া মোচড় নিখিলের গুরুতর অসুস্থতা। পাশাপাশি, নিখিল-শ্যামা খুঁজে পেয়েছে তাদের ছেলেকে।
যদিও রেটিং চার্টে ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফল করছে ‘কৃষ্ণকলি’। চলতি সপ্তাহেও ৭.৪ পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ‘কৃষ্ণকলি’-র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সুশান্ত বসুর দাবি, রেটিং চার্টে ভাল জায়গায় থাকলে সাধারণত সেই ধারাবাহিক বন্ধ হয় না। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রাখতে চাইলে ভাল ফল থাকা অবস্থাতেই সেই ধারাবাহিক বন্ধ করে দিতে পারেন। সেই পথে জি বাংলা কর্তৃপক্ষ হাঁটবেন কিনা সে কথা তাঁরাই ঘোষণা করবেন। সুশান্তের কাছে ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনও খবর নেই।
কৃষ্ণকলি
সুশান্ত ‘উমা’-র প্রযোজক, পরিচালক। খবর, সেই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে দেখা যেতে পারে ‘কৃষ্ণকলি’-র ‘নিখিল’-কে। এক সঙ্গে দুটো মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা কি সম্ভব হবে নীলের? শ্যুটে ব্যস্ত থাকায় অভিনেতাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বদলে উত্তর দিয়েছেন সুশান্ত। তাঁর কথায়, একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রের অভিনেতা এর আগেও একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রানু পেল লটারি’ ধারাবাহিক চলাকালীন প্রকাশ্যে আসে ‘কী করে বলব তোমায়’-এর প্রচার ঝলক। দুটো ধারাবাহিকেরই মুখ্য অভিনেতা ক্রুশল আহুজা। সুশান্তের আরও মত, সে ক্ষেত্রে অনেক সময় ধারাবাহিকের সময় বা স্লট বদলে দেওয়া হয়। চ্যানেল মনে করলে সেই বদল আসতে পারে ‘কৃষ্ণকলি’-র ক্ষেত্রেও। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, নীল তাঁর নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় করবেন, এমনটাও এখনও ঠিক হয়নি।
যদিও ‘কৃষ্ণকলি’-র নায়িকা তিয়াসা জানালেন, তাঁর কাছেও ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার কোনও খবর নেই।
ধারাবাহিকে ‘নিখিল’ গুরুতর অসুস্থ। ‘রাণী রাসমণি’-র ‘রানিমা’-র মতোই কি আগামী দিনে থেমে যেতে পারে এই চরিত্রও? ‘‘এখনই নিখিলকে থামিয়ে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শ্যামার পাশাপাশি যতখানি গুরুত্ব শুরু থেকে চরিত্রটি পেয়ে এসেছে আগামী দিনেও তা বজায় থাকবে’’, সাফ জবাব সুশান্তের।