কাজল এবং অজয় দেবগণ।
ঐতিহাসিক চরিত্র তানাজির চরিত্রে অভিনয় করছেন অজয় দেবগণ। ছবির নাম ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’। ছবিতে তানাজির স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ মালুসরের ভূমিকায় দেখা যাবে কাজলকে।
এই ছবির শুটিং শেষ। ছবির শুটিং সেটেই সকলের সামনে অজয়-কাজলের একে অপরের প্রতি আচরণে তাজ্জব সকলেই। তাজ্জব হওয়ার কারণ রয়েছে বইকি। অজয়-কাজল যেন ভুলেই যাচ্ছেন, তাঁরা শুটিং সেটে রয়েছেন, তাঁদের আশেপাশে আরও অনেক লোকজন রয়েছেন। তাঁরা একে অপরের প্রতি যে ব্যবহার করছেন, তা উপস্থিত সকলকেই অবাক করেছে।
একে অপরের প্রতি কী এমন ব্যবহার করেছেন তাঁরা? ঠিক বাড়িতে যে ভাবে নিজেরা কথা বলেন, কোনওরকম ফর্মালিটি ছাড়াই, শুটিং সেটেও তাঁরা ওই একই রকম আচরণ করছেন। আর এতেই অবাক হয়েছেন সেটের বাকিরা।
আরও পড়ুন: বয়ফ্রেন্ড, মেয়েদের নিয়ে ‘ম্যাজিকাল জন্মদিন’ পালন সুস্মিতার, দেখুন ভিডিয়ো
সম্প্রতি তানাজির ট্রেলার মুক্তি পেল। কাজল অবশ্য এই ট্রেলার মুক্তির সময় মেয়ে নিয়াশার কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। অজয় দেবগণ ট্রেলার মুক্তির দিন উপস্থিত ছিলেন। সেটের সকলেই যে তাঁদের ব্যবহারে অবাক হয়েছিলেন, সে দিন তা স্বীকারও করে নেন অজয়। অজয় জানিয়েছেন, আসলে কাজলের সঙ্গে অভিনয় করার সময় তাঁর একবারও মনে হচ্ছিল না যে তাঁরা শুটিং সেটে রয়েছেন। মনে হচ্ছিল ঠিক যেন বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁদের কথাবার্তাও তাই বাড়ির মতোই ছিল।
তানাজি মালুসরে ছত্রপতি শিবাজির বীর সেনাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন মরাঠা সাম্রাজ্যের অন্যতম মূল কাণ্ডারি। শিবাজির নির্দেশে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিংহগড় অভিযানের। পুণের এই গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের দখলে ছিল। গড়ের দায়িত্বে ছিলেন রাজপুত আধিকারিক উদয়ভান রাঠৌর। তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন মুঘল সেনাপতি প্রথম জয় সিংহ। রাজপুত-মুঘলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে উদ্ধার হয় সিংহগড়। মুঘল অধিকার থেকে হাতবদল হয়ে দুর্গ আসে মরাঠাদের আধিপত্যে। কিন্তু উদয়ভানের সঙ্গে সম্মুখসমরে প্রাণ হারান তানাজি। সেই যুদ্ধই এ বার ফের জীবন্ত হয়ে উঠতে চলেছে পর্দায়।
বহুদিন পর এই ফিল্মে জুটি বাঁধতে চলেছেন কাজল-অজয়। দর্শকরা এই ফিল্ম কেমন ভাবে নেন, সেটাই দেখার।