Kartik Aaryan

‘পড়াশোনায় মন ছিল না, বার বার ফেল করত’, কার্তিকের গোপন কথা প্রকাশ করলেন তাঁর মা

কার্তিকের ছোটবেলার নানা কথা এ দিন ভাগ করে নেন তিনি। তখনই জানান, অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন কখনও প্রকাশই করেননি কার্তিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১৯:৩০
Share:

কার্তিক আরিয়ান। ছবি-সংগৃহীত।

‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এ অভিনয়ে করে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার কোনও কথাই ছিল না অভিনেতার। মনের মধ্যেই অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছেটুকু শুধু লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে এসে বললেন কার্তিকের মা মালা।

Advertisement

কার্তিকের ছোটবেলার নানা কথা এ দিন ভাগ করে নেন তিনি। তখনই জানান, অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন কখনও প্রকাশই করেননি কার্তিক। প্রথম ছবিতে সুযোগ পাওয়ার পরে অভিনয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি। কার্তিকের মা-বাবা ও দিদি পেশায় চিকিৎসক। তাই অভিনয়ের ইচ্ছের কথা প্রথম দিকে নিজের মধ্যেই রেখেছিলেন তিনি। মুখ ফুটে কিছু বলেননি।

কার্তিকের মা বলেন, “শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখত কার্তিক। কিন্তু আমাদের এ কথা কখনও ও খুলে বলেনি। ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ ছবিতে সুযোগ পাওয়ার পরে ও আমাদের ওর মনে কথা খুলে বলে।”

Advertisement

কলেজে পড়াকালীন একটি বিষয়ে ফেলও করেছিলেন কার্তিক। কার্তিকের মা ভাবতেন, সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন ছেলে। কিন্তু কার্তিক ব্যস্ত ছিলেন ছবির অডিশনের প্রস্তুতি নিয়ে।

হঠাৎই এক দিন কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেন কার্তিক। ফোন করে অভিনেতা তাঁর মাকে বলেন, “মা, আমি পেরেছি। আমি অডিশন দিয়ে সুযোগ পেয়েছি একটি ছবিতে অভিনয় করার।” কার্তিকের কথা শুনে তাঁর মা’ও সে দিন কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি চাননি, ছেলে অভিনেতা হোক।

সে দিন ছেলেকে তিনি বলেছিলেন, “তুমি অভিনেতা হতে চলেছ বলে আমি কাঁদছি। আমি চেয়েছিলাম তুমি পড়াশোনা করো এবং চিকিৎসক হও অথবা অন্য কিছু। কিন্তু কখনওই চাইনি, তুমি অভিনেতা হও।”

এমনকি, কার্তিককে ধরে বেঁধে পড়াশোনা করানো হত বলেও তিনি জানান। প্রতি বার কোনও একটা বিষয়ে অকৃতকার্য হতেন অভিনেতা। জোর করে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বুঝিয়েছিলেন পড়াশোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিকের মা বলেন, “জোর করে পড়িয়েছি ওকে। একটা ডিগ্রি তো থাকা উচিত ওর। চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ও দশ বছরে শেষ করেছে।” সেই কার্তিক আজ ভারতের সিনেমা জগতের এক সাড়া ফেলে দেওয়া নাম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement