কর্ণ-দৃশার বিয়েতে হেমা মালিনীর প্রতিক্রিয়া। ছবি : সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের বিলাসবহুল হোটেলে মহা ধুমধামেই সারা হল সানি দেওলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। সলমন খান থেকে আমির খান, সঞ্জয় দত্ত থেকে দীপিকা পাড়ুকোন— বলিপাড়ার সব নামজাদা তারকা হাজির ছিলেন দেওলদের বাড়ির অনুষ্ঠানে। ছেলের বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানই চুটিয়ে উপভোগ করেছেন ধর্মেন্দ্রের প্রথম পক্ষের পরিবার। নাতি কর্ণের বিয়েতে বহু বছর বাদে দেখা ধর্মেন্দ্রকে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা গেল। নাতবৌ দৃশাকে দাদাশ্বশুর ধর্মেন্দ্র ও দিদিশাশুড়ি প্রকাশ কৌর জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ধর্মেন্দ্রের তরফের প্রায় সব আত্মীয়-পরিজন। কিন্তু দেখা মেলেনি বর্ষীয়ান এই অভিনেতার দ্বিতীয় পক্ষের পরিবারের। অবশেষে নবদম্পতির উদ্দেশে কী বললেন হেমা মালিনী?
১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই বিয়ে করেন হেমা মালিনীকে। তার পর থেকেই স্বামীর প্রথম সংসারের সঙ্গে সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখেন তিনি। কখনওই ধর্মেন্দ্রের প্রথম পক্ষের পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করেননি অভিনেত্রী। তাই সকলের প্রায় জানাই ছিল, বিয়েতে আসবেন না হেমা। কথা ছিল, অভিনেত্রীর দুই মেয়ে এষা ও অহনা যাবেন। শেষ মুহূর্তে দেখা মেলেনি তাঁদেরও। তবে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ দিতে ভোলেননি হেমা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, একেবারে অন্য রকম একটা বিয়ে হল কর্ণ-দৃশার।
সম্পর্কে পিসি, অভিনেত্রী এষা দেওল নবদম্পতির উদ্দেশে লেখেন, ‘‘কর্ণ-দৃশা তোমাদের শুভেচ্ছা। সারা জীবন এ ভাবেই একসঙ্গে হাসিখুশি থেকো।’’ হেমার দুই মেয়ে এষা-অহনার বিয়েতে একই ভাবে দেখা যায়নি সানি-ববিকে।