মেয়ের সঙ্গে ডিনারে যেতে গিয়েও বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে অভিনেতাকে। ফাইল চিত্র।
বলিউডের ভয়ধরানো খলনায়ক তিনি। পর্দার খলনায়ক রঞ্জিত ব্যক্তিজীবনে তেমন মানুষ না হলেও পর্দার ভাবমূর্তি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও। এখনও তিনি দর্শকের চোখে ‘ধর্ষক রঞ্জিত’। ভালবাসার বদলে ঘৃণাই পেয়েছেন বেশি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন একটি ঘটনার কথা বললেন প্রবীণ অভিনেতা, যা থেকে বোঝা গেল পর্দার ভাবমূর্তি থেকে বাইরের মানুষটিকে আলাদা করতে পারেন না অনেকেই।
রঞ্জিত বলেন, “কপিল দেবের শ্যালিকা চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। আমার অভ্যাস করমর্দন করা এবং পাশ থেকে জড়িয়ে ধরা। উনি একটু অস্বস্তিবোধ করেছিলেন। কপিল তখন তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, ‘তুমি যেমন ভাবছ, ও সে রকম লোক নয়।”’
পর্দায় ধর্ষক হিসাবে তাঁর যে ভাবমূর্তি, পর্দার বাইরে অনেকেই তাঁকে তেমনটাই ভাবেন বলে মনে করেন রঞ্জিত। কন্যা গিগি তখন দিল্লিতে পোশাকশিল্পী হওয়ার তালিম নিচ্ছিলেন ডিজ়াইনার মণীশ অরোরার কাছে। দিল্লিতে মেয়েকে একা রাখতে ভয় পেতেন বলে প্রতি সপ্তাহান্তে রঞ্জিতও দিল্লি যেতেন। তাতে শুনেছেন বিদ্রুপ। মেয়ের সঙ্গে তাঁকে দেখে লোকে অন্য কিছু ভাবত।
অভিনেতার কথায়, “গিগি আমায় প্রতি রাতে ডিনারে নিয়ে যেত। অধিকাংশ সময় হত কী, আমি ওর হাত ধরে হাঁটতাম। ও হাই হিল পরত বলে আমার চেয়ে লম্বা লাগত ওকে। লোকজন খারাপ চোখে দেখত, বিদ্রুপ করত। এ কথাও শুনেছি, ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছ, এখনও এক জন তরুণীর সঙ্গে ঘুরছ। লজ্জা করে না?’”
যদিও, ভালবাসা যে একেবারেই পাননি এমনটাও নয়। রঞ্জিতের কথায়, “আমি যখন প্রথম ‘শর্মিলি’-তে খলচরিত্রে অভিনয় করি, আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রক্ষণশীল পরিবার ছিল আমাদের। বাবা-মা ভেবেছিলেন, খুব খারাপ পেশায় যুক্ত হয়েছি আমি, মেয়েদের কষ্ট দিই, তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করি। ” বলতে বলতে হেসেই ফেলেন অভিনেতা। জানালেন, শট দেওয়ার পর নিষ্ঠুর দৃশ্যগুলি নিয়েই সহকর্মীদের সঙ্গে কত হাসাহাসি করেছেন!
কয়েক দশকে প্রায় দু’শো ছবিতে রঞ্জিত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে ‘বাঁধে হাত’, ‘নমক হালাল’-এর মতো বহু ছবি দর্শকের মনে দাগ কেটেছে।