(বাঁ দিকে) রানি মুখোপাধ্যায়, কাজল। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৮ সালের ছবি। সব বয়সের, বিশেষত নব্বইয়ের দশকের দর্শকের কাছে এখনও সেই ছবির আবেদন প্রায় অমলিন। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। কর্ণ জোহর পরিচালিত প্রথম ছবি। সেই ছবিতে নায়ক ছিলেন শাহরুখ খান। নায়িকার চরিত্রে ছিলেন বলিউডের দুই বাঙালি অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় ও কাজল। স্রেফ বাঙালি-যোগই নয়, আদপে একই পরিবারের সদস্য রানি ও কাজল। একে অপরের তুতো বোন। একই ছবিতে কাজ করছেন দুই বোন, তবে শুটিংয়ের সেটে নাকি তা দেখে বোঝাই যেত না! কাজের প্রয়োজন ছাড়া একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতেন দু’জনে। কেন জানেন?
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নের সাম্প্রতিক পর্বে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন রানি ও কাজল। সেই পর্বেই দুই নায়িকার সমীকরণ প্রসঙ্গ তোলেন কর্ণ। কর্ণের কথায়, ‘‘পরিচালক হিসাবে আমার প্রথম ছবি। আমি জানি যে তোমরা একই পরিবারের, তোমরা তুতো বোন। এ দিকে সেটে তোমাদের হাবভাব দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এই দূরত্বটা ঠিক কেন?’’ কর্ণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কাজল বলেন, ‘‘বিষয়টা এমন নয় যে আমাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। আমরা সচেতন ভাবে কোনও দূরত্ব তৈরি করিনি। আমার মনে হয়, ওই বয়সে যখন আমরা অভিনয়ে পা রেখেছি... আমরা নিজেদের জায়গা তৈরি করা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।’’ কাজলের কথার রেশ রেখেই রানি বলেন, ‘‘আমরা ছোট থেকে একে অপরকে চিনি। আমি চিরকাল কাজল দিদি বলেই ডেকে এসেছি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিই দূরত্ব বাড়তে থাকে। কারণ তখন দেখা-সাক্ষাৎ অনেক কমে যায়। আমার বরং তানিশার (কাজলের বোন) সঙ্গে অনেক বেশি কথাবার্তা হত। আর এমনিতেও আমাদের পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে কাজল দিদির বন্ধুত্ব বেশি ছিল।’’
তা হলে পরবর্তী কালে কী ভাবে একে অপরের ভাল বন্ধু হয়ে উঠলেন রানি ও কাজল? রানির কথায়, ‘‘আমাদের বাবারা চলে যাওয়ার পরে পরিবারের সবার মধ্যেই দূরত্ব অনেক কমে গিয়েছিল। যা হয় আর কী... প্রিয়জনকে হারালে মানুষ কাছের লোককেই আঁকড়ে ধরে।’’