বিবাহিত জীবনের তেরো বছর পার করলেন অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। সুখী এই যুগলের বিয়ের ঠিক আগের দিন ঘটেছিল এমন একটি ঘটনা, যা রাতারাতি উঠে আসে পেজ থ্রি- র শিরোনামে। অভিষেক বচ্চন নাকি বিবাহিত, দাবি করেছিলেন এক অভিনেত্রী।
১৯ এপ্রিল, ২০০৭। জাহ্নবী কপূর হঠাৎ করেই মিডিয়ার সামনে দাবি করে বসে্ অভিষেকই নাকি তাঁর স্বামী। প্রায় দু’বছর ধরে ডেট করার পর বিয়ে করেছেন তাঁরা।
না না, শ্রীদেবী এবং বণি কপূরের মেয়ে জাহ্নবী কপূর নয়। এই জাহ্নবী বলিউডে পার্শ্বচরিত্রে কাজ করতেন। অভিষেক বচ্চন অভিনীত ‘দশ’ সিনেমাতে একটি গানে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে কাজ করেছিলেন জাহ্নবী।
জাহ্নবীর দাবি ছিল, তাঁর সঙ্গে জুহুতে নিয়মিত দেখা করতেন অভিষেক। তাঁকে নাকি সিঁদুরও পরিয়েছিলেন অভিষেক। ছিল শারীরিক সম্পর্কও। কিন্তু আচমকাই নাকি জাহ্নবীকে ঠকিয়ে ঐশ্বর্যাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র বচ্চন।
টুইস্টের এখানেই শেষ নয়। 'প্রতীক্ষা'-য় বসেছিল অ্যাশ এবং অভির বিয়ের আসর। তার সামনে গিয়েই হাত কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন সেই উঠতি অভিনেত্রী।
অভিষেকের নামে পুলিশে অভিযোগ জানাতেও গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য উল্টে তাঁর বিরুদ্ধেই জমা পড়েছিল এফআইআর।
বচ্চন পরিবারের মত প্রভাবশালী এক পরিবারের বিরুদ্ধে এ হেন অভিযোগে তখন তোলপাড় বি-টাউন। জাহ্নবীকে প্রমাণ দেখানোর জন্য বলা হলে তিনি কী বলেছিলেন জানেন?
তিনি বলেছিলেন, “যখন তুমি কাউকে মন থেকে ভালবাস, তার প্রমাণ দেখানোর দরকার পড়ে না।
অভিষেকের ও তাঁর বিয়ের কোনও প্রমাণ দেখানোর কথা বলা হলেও তিনি এড়িয়ে যান। সাময়িক ভাবে ধাক্কা লাগলেও পরে সবাই বুঝে যান, এ সবই হেডলাইন কাড়ার চেষ্টা। অ্যাশ এবং অভিষেকের বিয়েও মহা ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
হালফিলে বলিপাড়ায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-য়ের চল হয়েছে। কিন্তু ঐশ্বর্যা এবং অভিষেক যখন বিয়ে করেন, সে সময়টা এ সবের চল ছিল না একেবারেই। মিডিয়ারও প্রবেশ ছিল না সে বিয়েতে।
মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছে তাঁদের। দিয়ে যাচ্ছেন 'কাপল-গোল'। মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছে তাঁদের। দিয়ে যাচ্ছেন 'কাপল-গোল'।