আবারও কি ভেঙে যাবে বহুচর্চিত জেনিফার-বেন জুটি?
রূপকথা হতে পারত তাঁদের প্রেমগাথা। তবে সে দিকে হাঁটছেন না তারকা জুটি। ১৭ বছর পর একসঙ্গে হয়েও ফের ঝগড়া শুরু করেছেন জেনিফার লোপেজ আর বেন অ্যাফ্লেক। মধুচন্দ্রিমা সেরে লস এঞ্জেলেসের বাড়িতে ফিরেছেন সদ্য। উভয়ের আগের পক্ষ মিলিয়ে ৬ সন্তান। তাদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি কর্মজীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে অন্তরঙ্গ মধুর সময় বার করে উঠতে পারছেন না। আবারও কি ভেঙে যাবে বহুচর্চিত এই সম্পর্ক? সে নিয়ে কানাঘুষো হলিউডে।
সূত্রের খবর, তাঁদের দাম্পত্যকলহ চরমে উঠেছে। বিয়ের আগে বেশ ‘লক্ষ্মী’ হয়ে ছিলেন জেনিফার। যেন অস্কারজয়ী ছবির নিখুঁত চরিত্র। পুরোটাই অভিনয় ছিল? প্রশ্ন উঠছে এখন। কেরিয়ার ছাড়া নাকি কিছুই বোঝেননি ‘দ্য বয় নেক্সট ডোর’ নায়িকা! তাই বেনও বোঝেননি, আবার আগুনে হাত দিতে চলেছেন।
মধুচন্দ্রিমার পর তিক্ততা আরও বেড়েছে। বেন সাধারণত জিনস-টিশার্টে স্বচ্ছন্দ। শোনা যাচ্ছে, জেনিফার এখন তাঁকে নির্দেশ দিচ্ছেন, কী পরবেন আর কী পরা যাবে না। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেনের ধূমপানের অভ্যাসও একেবারেই পছন্দ করছেন না অভিনেত্রী। পরিচালক তথা অভিনেতা বেনও তাঁর স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার। কিন্তু জেনিফার সমানে খুঁচিয়ে চলায় ধূমপান আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ‘গন গার্ল’-এর নায়ক।
শুধু তা-ই নয়, বেনের অগোছালো হয়ে থাকা নিয়েও সমস্যা আছে জেনিফারের। তাঁর দাবি, বেন যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকেন না। তাঁর উপর দুই পরিবারের মিলমিশ হয়নি সে ভাবে। সবাইকে খুশি করে চলা যে ধাতে নেই জেনিফারের।
বেনও সদ্য বুঝতে পেরেছেন, তাঁর নতুন বউ ঠিক আগের মতোই কাজপাগল! আর কোনও দিকে বিশেষ খেয়াল নেই তাঁর। যে কারণে ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছিল, সেই কারণ এখনও যে জ্বলজ্বল করছে মাঝখানে। শুধু বুঝতে ভুল করলেন নায়ক?
২০০০ সাল। সিনেমার সেটে প্রথম বার প্রেমে পড়েছিলেন জেনিফার-বেন। ২০০২ সালে তাঁরা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাগ্দান পর্ব সেরেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি। ২০০৪ সালে বিচ্ছেদের পর যে যাঁর আলাদা ঘর পাতেন। তাঁর পর ১৭ বছর পার। সন্তানদের নিয়ে শেষমেশ এক ছাদের নীচে এলেন দু’টিতে। বিয়ে করলেন ২০২১ সালের এপ্রিলে। কিন্তু কত দিন একসঙ্গে থাকতে পারবেন, সে নিয়ে ফের সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।