জেহ-র কান্না শুনেই ছুটে আসেন সইফ, মুখ খুললেন ন্যানি। ছবি: সংগৃহীত।
গভীর রাতে কী ভাবে সইফ-করিনার বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী? ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জেহ-র ন্যানি এলিয়াম্মা ফিলিপ্স। গত চার বছর ধরে সইফ-করিনার কনিষ্ঠ পুত্র জেহ-র দেখাশোনা করছেন তিনি।
জেহ-র ঘরেই প্রথমে দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল। রাত আড়াইটের সময়ে এলিয়াম্মা প্রথম একটা শব্দ শুনতে পান। সেই শব্দ শুনে ন্যানি ভেবেছিলেন, করিনাই হয়তো পুত্র জেহ-কে দেখতে তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমি ভেবেছিলাম, করিনাই হয়তো জেহ বাবাকে দেখতে এসেছেন। তার পরেই মনে হল, কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। আমি উঠে দেখতে যাই। এক ব্যক্তির ছায়া দেখতে পাই তখন।”
সঙ্গে সঙ্গে জেহ-র ন্যানি প্রমাদ গোনেন। তিনি বলেন, “শৌচালয় থেকে সেই ব্যক্তিকে বেরিয়ে আসতে দেখি। তার পরেই সে জেহ বাবার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হই।” দুষ্কৃতী জেহ-র ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে, এই দেখে সঙ্গে সঙ্গে সইফ-পুত্রকে বাঁচাতে উদ্যত হন এলিয়াম্মা। সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “কেউ কোনও শব্দ করবে না। কেউ ঘরের বাইরে যাবে না।” এই বলেই কোনও মতে জেহ-কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে দেখে ফেলে সেই দুষ্কৃতী। একটি কাঠের লাঠি দিয়ে ন্যানিকে মারে এবং কব্জিতে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে।
ভয় না পেয়ে এলিয়াম্মা দুষ্কৃতীকে প্রশ্ন করেন, সে কী চায়। তখনই এক কোটি টাকা চায় সে। এই ফাঁকে সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে পালায় জেহ। পুত্রের কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন সইফ ও করিনা। তার পরেই দুষ্কৃতী সইফের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।