Saif Ali Khan attacked

তৈমুর ছাড়া আরও এক জন ছিলেন সইফের সঙ্গে! সেই রাতের অভিজ্ঞতা জানালেন অটোরিকশা চালক

“ওই বাচ্চাটি ছাড়াও আরও এক জন ছিলেন সইফ আলি খানের সঙ্গে। তিনি খুব একটা আতঙ্কিত ছিলেন না”, বললেন অটোরিকশা চালক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪১
Share:

সইফের সঙ্গে সেই রাতে তৈমুর ছাড়াও কে ছিলেন? ছবি: সংগৃহীত।

গুরুতর জখম হওয়ার পরেও হার মানেননি সইফ আলি খান। আড়াই ইঞ্চি ছুরি গেঁথেছিল শিরদাঁড়ায়। সেই অবস্থায় মেলেনি গাড়ি। এই পরিস্থিতিতে অটোরিকশায় চড়ে হাসপাতালে যান অভিনেতা। সেই অটোরিকশার চালক ভজন সিংহ রানা মুখ খুললেন অবশেষে। সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, জানান তিনি।

Advertisement

ঘটনা নিয়ে এখনও অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি মুম্বই পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন তিনি। ঘটনার সময় তিনি বুঝতে পারেননি, তাঁর অটোরিকশায় এমন গুরুতর ক্ষত নিয়ে বসেছেন সইফ। তিনি ভেবেছিলেন, সামান্য ধস্তাধস্তিতে আঘাত লেগেছে তাঁর। ভজন সিংহ রানার কথায়, “ওঁর ঘাড় থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। সেই রক্তে সাদা কুর্তা ভিজে লাল হয়ে গিয়েছিল। অনেক রক্ত বেরিয়ে যায় ওঁর শরীর থেকে।” চালকের আক্ষেপ, “মনে হচ্ছিল, ওঁকে যদি সাহায্য করতে পারি।”

বুধবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় অটো থেকে নেমে পায়ে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করেন সইফ। তখনও তাঁর শিরদাঁড়ায় গেঁথে রয়েছে ছুরি। হাসপাতালে পৌঁছতেই দ্রুত অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকেরা। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, পুত্র ইব্রাহিম আলি খানই নাকি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবাকে। কিন্তু পরে চিকিৎসকের থেকে জানা যায়, আট বছরের ছেলে তৈমুরই নাকি তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Advertisement

অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসকেরা জানান, সইফ বিপন্মুক্ত। জ্ঞান ফিরেছে অভিনেতার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। পাশাপাশি, আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সইফের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি তৈমুরকেও বাহবা দিচ্ছেন সইফের অনুরাগীরা।

অটোচালক বলেছেন, “সইফ নিজেই এগিয়ে এসেছিলেন অটোর দিকে। ওঁর সঙ্গে একটা ছোট বাচ্চা ছিল। বড় চোট পেয়েছিলেন তিনি। বুঝেছিলাম, ওঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আট থেকে দশ মিনিটে আমরা পৌঁছে যাই। ওই বাচ্চাটি ছাড়াও আরও একজন ছিলেন সইফ আলি খানের সঙ্গে। তিনি খুব একটা আতঙ্কিত ছিলেন না।”

এক মহিলা চিৎকার করে অটোচালককে ডাক দেন সইফের বাড়ির সামনে। ভজন সিংহের কথায়, “এক মহিলার কণ্ঠ শুনতে পাই। তিনি চিৎকার করছিলেন। সেই শুনে ওঁদের বাড়ি সামনে দাঁড়াই। সইফ নিজেই গাড়িতে এসে ওঠেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি, তিনি সইফ আলি খান। সারা শরীরে ক্ষত ছিল ওঁর। হাসপাতালে পৌঁছেই ওঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। তখন বুঝতে পারি, তিনি সইফ আলি খান। সারা অটো রক্তে ভরে গিয়েছিল। ওঁর থেকে আমি আর ভাড়া নিইনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement