বলিউডের কোন নায়করা সবচেয়ে বেশি ফ্লার্ট করেন? এই তালিকায় প্রচুর নাম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই অক্ষয় কুমার, রণবীর সিংহ, রণবীর কপূরদের নাম মাথায় আসে।
কিন্তু যদি জানতে চাওয়া হয় সাতের দশকে কোন নায়ক সবচেয়ে বেশি ফ্লার্ট করতেন? উত্তর দিতে খানিক থমকেই যেতে হয় এ যুগের কিশোর-কিশোরীদের।
সম্প্রতি এই উত্তর জানা গেল সে সময়ের প্রথম সারির নায়িকা জয়প্রদার মুখে।
কপিল শর্মা শো-এ রাজ বব্বরের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন জয়প্রদা। বহু বছর পর একসঙ্গে তাঁদের পর্দায় দেখা যাবে।
‘ভুত আঙ্কল: তুসি গ্রেট হো’ মুক্তি পেতে চলেছে শীঘ্র। ফিল্মে দু’জনকেই একসঙ্গে দেখা যাবে। এর প্রোমেশনের জন্যই কপিলের শো-এ গিয়েছিলেন তাঁরা।
কথার জালে জড়িয়ে জয়প্রদার থেকে নানা বিষয় জেনে নিচ্ছিলেন কপিল। সাতের দশকের ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে অনেক কথাই বলছিলেন জয়াপ্রদা।
কিন্তু একটি প্রশ্নে থমকে যান তিনি। কপিল তাঁর কাছে জানতে চান, ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি ফ্লার্ট কে করতেন?
জয়াপ্রদা কিছু ক্ষণ ইতিউতি তাকিয়ে রাজ বব্বরকে জিজ্ঞাসা করেন এর উত্তর তিনি দেবেন কি না।
রাজ তাঁকে নির্ভয়ে বলতে বলেন। তার পরই ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি ফ্লার্ট করা নায়কের নাম নেন জয়াপ্রদা। সেই নায়ক কে জানেন?
কণ্ঠস্বর একটু নামিয়ে জয়াপ্রদা উত্তরে ধর্মেন্দ্রর নাম নেন। পাশাপাশি রাজ বব্বরও হাত তুলে নিয়ে জানান, তিনি খুবই ভদ্র নায়ক ছিলেন।
সাতের এবং আটের দশকে ধর্মেন্দ্র ছিলেন সুপারস্টার। মহিলা মহলে তাঁর জনপ্রিয়তা তুমুল ছিল। আর তিনি শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ব্যস্ত থাকতেন নায়িকাদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে!
ধর্মেন্দ্র এবং জয়প্রদার জুটিও হিট ছিল সে সময়। তাঁরা একসঙ্গে অনেক ফিল্মে অভিনয় করেছেন।
‘ইনসাফ কৌন করেগা’, ‘মর্দ ওয়ালি বাত’, ‘গঙ্গা তেরে দেশ ম্যায়’, ‘কুন্দন’ এবং ‘কয়ামত’-এর মতো হিট ফিল্মে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।
বলিউডের ‘হি ম্যান’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। নায়িকাদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই যে তিনি বিবাহিত জেনেও তাঁর প্রেমে পড়ে যেতেন।
ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রীর কথা জানা সত্ত্বেও তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন হেমা মালিনী। প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র।
এখানেই শেষ নয়, ধর্মেন্দ্র যে হেমার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তা জানা সত্ত্বেও আবার অভিনেত্রী অনিতা রাজ তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন।