দুশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের। ফাইল চিত্র।
বিদেশ সফরে যেতে চান জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। দেশের বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে এখনও তাঁর। কিন্তু আদালতের কাছে আবেদন পেশ করে জানালেন, ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে বাহরিন যেতে হবে। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তরফে এখনও জবাব আসেনি।
২০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর আদালতে প্রবেশ করার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। দুশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রীর। এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে সম্পূর্ণ চার্জশিট জ্যাকলিনের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই শুনানির দিন ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে।
গত ৩০ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় মুম্বইয়ের বাসিন্দা পিঙ্কি ইরানিকে। সুকেশ ও জ্যাকলিনের যোগসূত্র ছিলেন তিনি। সুকেশের সঙ্গে অভিনেত্রীর আলাপ হয় এই পিঙ্কির মাধ্যমেই। অন্তর্বতী জামিনে ছাড়া পেলেও আপাতত ঘন ঘন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে জ্যাকলিনকে।
এ দিকে, গত ১২ ডিসেম্বর জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন নোরা ফতেহি। নোরার দাবি, এই মামলায় অকারণে তাঁকেও জড়ানো হয়েছে। নিজের স্বার্থে নোরার কেরিয়ার এবং মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি করছেন জ্যাকলিন। সুকেশের প্রাক্তন প্রেমিকা তথা জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে নোরা বলেন, “জ্যাকলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে কেরিয়ার নষ্ট করছে। সেটা অবশ্য ওর কাছের মানুষের জন্যই করছে। সুকেশ আর ও দু’জনেই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। একই অতীত। যা করছে, সেটা ওদের ব্যাপার। কিন্তু আমাকে এই নোংরামির মধ্যে জড়ানো কেন?” সেই মর্মে নিজেকে এই মামলা থেকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন অভিনেত্রী।