প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর হাস্যে-লাস্যেও মাত টলিউড। চোখেমুখে এখনও ছেলেমানুষী, নিষ্পাপ সারল্য এই টলিউড অভিনেত্রীর। তিনিই নাকি বলিউডে গিয়ে এক ‘বৃদ্ধ’ প্রযোজকের মায়াজালে বন্দি হয়েছিলেন!
নায়িক সংসারী। চার হাত এক হওয়ার আগেই নাকি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ওই নায়িকা। বলিউড থেকে টলিউড— সর্বত্র সেই সময় কানাকানি। হবে নাই বা কেন? প্রযোজকের কথায় নামজাদা বলি তারকারা ওঠেন বসেন। তাঁর ছবিতে সেনা অফিসার আর তাঁর প্রেমিকার চরিত্রে প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন এই প্রজন্মের দুই খ্যাতনামী নায়ক-নায়িকা। ছবির দুনিয়া বলছে, তাঁদের সেই প্রেম এখন গাঁটছড়ার বাঁধনে পোক্ত। এ সব দেখেই সম্ভবত তাঁকে ‘সুগার ড্যাডি’ হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন বঙ্গ নায়িকা!
কিন্তু বাস্তবে ঘটল? সত্যিকারের ‘ড্যাডি’র বয়সী সেই প্রযোজক নাকি মন দিয়ে ফেলেছিলেন মেয়ের বয়সী এই নায়িকাকে। অভিনেত্রী কত দিন সেই আবেদন দূরে ঠেলবেন? একটা সময় পরে প্রকৃতির নিয়মে তাঁরা অন্তরঙ্গ। তখন প্রায়ই মুম্বইয়ের যত্রতত্র নাকি দেখা করতেন তাঁরা। সময়ও কাটাতেন। টলি নায়িকা উড়ে যেতেন সাগরপাড়ে। বাংলা বিনোদন দুনিয়া ভেবেছিল, বুঝি বলিউডের পাকাপাকি ভাবে থেকে যাবেন তিনি।
শোনা কথা, প্রযোজক নাকি একেবারে খালি হাতে ফেরাতেন না অভিনেত্রীদের। সাম্মানিক হিসেবে যা দিতেন তা নাকি তাঁর কাছে যৎসামান্য! কিন্তু কোনও দিন ‘সুগার ড্যাডি’ হয়ে ওঠেননি। তা হলে বলিউডে ঘাঁটি গাঁড়ার স্বপ্ন? না, সেটা অধরাই থেকে গিয়েছে। নায়িকার মধ্যে একমাত্র প্রেমময় রূপ ছাড়া আর কোনও রূপই নাকি দেখতে পাননি বৃদ্ধ প্রযোজক। ফলাফল? অন্যান্য ভাষায় কাজ করে ফেললেও বলিউডে এখনও দাঁত ফোটাতেই পারলেন না অভিনেত্রী।