জন্মদিনে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল নোরাকে। ছবি: সংগৃহীত।
নাচতে ভালবাসেন নোরা ফতেহি। জন্মদিনে তাঁকে আর পায় কে! জমিয়ে খানাপিনার আগে এবং পরে নাচে মত্ত নোরাকে দেখা গেল সমুদ্রের বুকে, এক প্রমোদতরীতে। দুবাইতে এসে পড়েছেন নোরা, তাঁর বান্ধবীদের নিয়ে। চুটিয়ে মজা করছেন সাদা গদি পাতা প্রমোদতরীর ভিতর। চারিদিকে সমুদ্রের নীল, তার মাঝে সাদা গালিচায় রঙিন ফুলছাপ আঁকা খাটো পোশাকে পরির মতো তরতাজা অভিনেত্রী। কখনও বেলিডান্স, কখনও হিপডান্স— জন্মদিনে নোরা একেবারে অন্য মেজাজে।
সাদা গদি দিয়েই বানানো মঞ্চ। সেখানে সাদা পোশাকের বান্ধবীদের কাছে ডেকে নিলেন নোরা। নাচলেন একসঙ্গে। সেই ভিডিয়ো উষ্ণতা ছড়াচ্ছে সমাজমাধ্যমে।
সামনেই রয়েছে একটি বহুমূল্য কেক, যেটি নোরার মতোই দেখতে। সেই কেকের নোরা সিংহাসনে বসে আছেন। তাঁকে কেটে খাওয়াও যাবে।
জন্মদিনের পার্টি থেকে কোনওমতে মুখ তুলে একটি পোস্ট দিয়েছেন নোরা। তাতেই ব্যাখ্যা রয়েছে তাঁর জন্মদিনের মেজাজের। সেখানে লিখছেন, ‘‘দৃষ্টি আকর্ষণ করব ভেবেছিলাম, কিন্তু দৃষ্টি নিজেই আমায় আকর্ষণ করেছে।’’
চপল কিশোরীর মতো নোরা একনাগাড়ে নেচে চললেন প্রমোদতরীতে। তার কিছু পরে সন্ধ্যা নামলেও ক্লান্তি এল না নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রীর। বন্ধুবান্ধব সঙ্গে নিয়ে গেলেন নৈশভোজে। সেখানেও এক বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় নোরার মন জয় করলেন শিল্পীরা। তাঁকে ঘিরে বিশেষ গান গাইলেন দুবাইয়ের গায়করা।
গত ডিসেম্বরে ফিফা বিশ্বকাপের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যে অবদান রেখেছেন নোরা, তাতে সবার হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তারকা। প্রথম ভারতীয় পারফর্মার হিসাবে ‘লাইট দ্য স্কাই’ গানে নজির গড়েছেন নোরা। তার পর থেকেই দেশ তাঁকে নিয়ে গর্বিত। যতই বিদেশি বংশোদ্ভূত হন, তিনি যে এখন ভারতের ঘরের মেয়ে! জন্মদিনেও তাঁকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন সতীর্থরা।